কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা পরিষদ চত্বরে প্রধান ফটকের সামনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতির আকারে নির্মিত ম্যুরালটি উদ্বোধন করা হয়েছে।
শনিবার সকালে ম্যুরাল উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন।
তবে ম্যুরাল উদ্বোধন করতে এসে আমন্ত্রিত অতিথিরা লক্ষ করেন ম্যুরালের ফলকে অবাঞ্ছিত ঠিকাদারের নাম খোদাই করা হয়েছে। এ নিয়ে শুরু হয় গুঞ্জন। ঠিকাদার মোস্তাফিজার রহমান রবিন প্রতিমন্ত্রীর আপন চাচাতো ভাই হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি কেউই। তবে ঘটনাটি প্রশাসনের নজরে এলে প্রতিমন্ত্রীকে জানালে তিনি ফলকটি সংশোধনের নির্দেশ দেন।
এ ব্যাপারে রৌমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ আবদুল্লাহ জানান, কাজটি করা ঠিক হয়নি। প্রতিমন্ত্রীর চাচাতো ভাই ও ঠিকাদার রবিন সেখানে উপস্থিত ছিল। ফলে কেউ মুখ খোলেনি। এ ছাড়াও ফলকে উপজেলা চেয়ারম্যান ও নির্মাণাধীনের দায়িত্বে থাকা এলজিইডির নামও সেখানে উল্লেখ করা হয়নি।
নির্মাণের দায়িত্বে থাকা উপসহকারী প্রকৌশলী মেজবাহ উল হক জানান, উপজেলা পরিষদের রাজস্ব উন্নয়ন বাজেট থেকে সাড়ে ৬ লাখ টাকায় জাতির পিতার এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যুরালটি এলজিইডির তত্ত্বাবধানে নির্মাণ করা হয়। ফলকের প্রাথমিক স্যাম্পলে ঠিকাদারের নাম ছিল না। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে দেয়া হবে।
এ ব্যাপারে ঠিকাদার মোস্তাফিজার রহমান রবিন জানান, এ নিয়ে আমার কাছে কোনো অভিযোগ আসেনি। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি কাজ করেছি আমার নাম থাকবে না কেন।
কুড়িগ্রামে বঙ্গবন্ধুর মুর্যালের ফলকে ঠিকাদারের নাম। ছবি: নিউজবাংলা
ফলকে ঠিকাদারের নাম লেখার ব্যাপারে রৌমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল ইমরান জানান, ঠিকাদার ভুলবশত নিজের নাম লিখেছেন। এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী মহোদয়কে জানালে তিনি আগামী ২/৩ দিনের মধ্যে ফলক সংশোধনের জন্য মৌখিকভাবে নির্দেশ প্রদান করেন।
এদিকে বঙ্গবন্ধু জন্মশতবার্ষিকী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে নির্মিত ম্যুরাল উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন এমপি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল্লাহ্, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল ইমরান, উপজেলা স্বাস্থ্য প. প. কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আজিজুর রহমান, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নজরুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম মিনু, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি হারুন অর রশিদ, ঠিকাদার মোস্তাফিজার রহমান রবিন প্রমুখ।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, বিষয়টি তিনি অবহিত হয়েছেন এবং এটি দ্রুত অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন।