বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘জিনের টাকার’ ভাগ না পেয়ে হত্যার অভিযোগ

  •    
  • ১৪ আগস্ট, ২০২১ ২২:৩৭

রকেয়া বেগমের ছেলে শরিফুল বলেন, ‘আমার বড়চাচা একাব্বর আলী, তার স্ত্রী রাবেয়া বেগম ও দুই ছেলে কাদের ও জলিল, মেয়ে নাজমা আক্তারের সঙ্গে বুধবার রাতে আমাদের ঝগড়া হয়। তাদের দাবি, আমরা নাকি জিনের অনেক টাকা পেয়েছি। সেই টাকা থেকে এক লাখ টাকা তাদের ভাগ দিতে হবে।’

পঞ্চগড়ে রকেয়া বেগম নামে এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের গইছপাড়া এলাকার নিজ বাড়িতে তাকে কুপিয়ে জখম করা হয়।

নিহত গৃহবধূ রকেয়ার বয়স ৪০ বছর। তিনি এলাকার আব্দুল লতিফের স্ত্রী।

তাদের ছেলে শরিফুল ইসলাম বলছেন, ‘জিনের টাকার’ ভাগ না দেয়ায় বড়চাচা ও তার সন্তানরা রাতের আঁধারে তার মাকে কুপিয়ে হত্যা করেন। পুলিশ বলছে, কারা এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তাদের ধারণা, পারিবারিক কলহের জেরে তাকে হত্যা করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, শুক্রবার রাত ৮টার দিকে হঠাৎ বাড়ির উঠানের এক প্রান্তে গোঙানির শব্দ শুনতে পান লতিফের ছোটমেয়ে হনুফা বেগম ও ছেলে শরিফুলের স্ত্রী। এ সময় বাড়িতে কোনো পুরুষ না থাকায় তারা ভয়ে বের হননি। কিছুক্ষণ পর শরিফুল বাড়ি ফিরলে তারা তাকে বিষয়টি জানান।

শরিফুল সঙ্গে সঙ্গে টর্চ লাইট নিয়ে রান্নাঘরের সামনে গিয়ে দেখেন, তার মা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন। পরে তারা স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। অবস্থার অবনতি হলে তাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে রাত ১১টার দিকে তিনি মারা যান। ময়নাতদন্ত শেষে শনিবার বিকেলে মরদেহ পঞ্চগড় নিয়ে আসা হয়।

রকেয়া বেগমের ছেলে শরিফুল বলেন, ‘আমার বড়চাচা একাব্বর আলী, তার স্ত্রী রাবেয়া বেগম ও দুই ছেলে কাদের ও জলিল, মেয়ে নাজমা আক্তারের সঙ্গে বুধবার রাতে আমাদের ঝগড়া হয়। তাদের দাবি, আমরা নাকি জিনের অনেক টাকা পেয়েছি। সেই টাকা থেকে এক লাখ টাকা তাদের ভাগ দিতে হবে।

‘আমরা বারবার বলেছি, আমরা কোনো টাকা-পয়সা পাইনি। তারা তা মানছে না। তারাই আমাদের বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দিচ্ছিল। বিষয়টি নিয়ে সোমবার সালিশ হওয়ারও কথা ছিল। আমরা ধারণা করছি, তারাই আমার মাকে পরিকল্পিতভাবে ধারাল অস্ত্র দিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। আমি আমার মায়ের হত্যার বিচার চাই।’

পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিয়া বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। পারিবারিক কলহের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে ধারণা করছি। তবে এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না হত্যাকাণ্ডে কারা জড়িত।’

এ বিভাগের আরো খবর