উজানের ঢলে নীলফামারীতে তিস্তার দুই পাশ প্লাবিত হওয়ায় শুক্রবার দেখা দিয়েছিল বন্যার শঙ্কা। তবে শনিবার পানি কমায় আতঙ্ক কিছুটা কমেছে।
ডিমলা উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান বলেন, ‘পানি কমায় বিপদ কেটে গেছে তিস্তাপারের মানুষের। কালকের (শুক্রবার) মতো আজও নদীতে পানিপ্রবাহ একই থাকলে চরম বিপদে পড়তে হতো। সেই শনি কেটেছে এলাকায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘তিস্তায় পানি কমলেও নিম্নাঞ্চল ছাতুনামার চর, ভেন্ডাবাড়ি ও কেল্লাবাড়ি চরের মানুষের ঘরে এখনও পানি রয়েছে। তারা রান্না করতে পারেনি, বাজার করতে পারেনি। আজকে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে তাদের মাঝে।’
এলাকার অন্তত ৫০০ মানুষকে সহায়তা দেয়া প্রয়োজন বলে জানান তিনি।
তিস্তাবেষ্টিত টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ময়নুল হক জানান, নদীতে পানি কমায় এলাকার নিম্নাঞ্চল থেকেও পানি নামতে শুরু করেছে। পানি বাড়লে মানুষজন আতঙ্কে থাকে।
নীলফামারীর ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, শনিবার সকাল ৬টা ও ৯টায় পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার এবং দুপুর ১২টায় ৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়।
শুক্রবার বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় তলিয়ে যায় তিস্তার আশপাশ ও নিম্নাঞ্চল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বাঁধের ৪৪টি জলকপাটের সবগুলো খুলে রাখা হয়।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদৌলা জানান, উজানে ঢলের কারণে তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছিল। শনিবার উজানে পানি কমায় এদিকেও পানি কমেছে।
ডিমলা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেজবাহুল হাসান জানান, গতকাল বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। সব এলাকায় ত্রাণ দেয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের ভেন্ডাবাড়ি ও ছাতুনামার চর এলাকায় শুধু ত্রাণ বিতরণ করা হবে।