বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিএনপি নেতাকে গুলি করে কুপিয়ে হত্যা: আটক ২ 

  •    
  • ১৪ আগস্ট, ২০২১ ০২:১৫

হারুনুর রশিদ মোল্লাকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। বাকি দুজন চিকিৎসাধীন। হারুনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলির চিহ্ন ও কোপের জখম রয়েছে।

নোয়াখালী সদরের আন্ডারচর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ মোল্লাকে গুলি করে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।

শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়নের চৌকিদার হাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার পশ্চিম মাইজচরা গ্রামের চৌকিদার হাট বাজার এলাকার সাদাবুড়ির মসজিদসংলগ্ন নার্সারির সামনে হারুন মোল্লাকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।

আটককৃতরা হচ্ছেন আন্ডারচর ইউনিয়নের পূর্ব মাইজচরা গ্রামের আলী আহমদের ছেলে মো. সোহাগ ও নুর মোহাম্মদের ছেলে মো. মিলন হোসেন ।

নিহত হারুনুর রশিদ মোল্লা ওই ইউনিয়নের পশ্চিম মাইজচরা গ্রামের নছিবুল হকের ছেলে এবং আন্ডারচর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

হামলার ঘটনায় হারুন মোল্লার ভাতিজা রমিজ উদ্দিন ও হামলাকারী গিয়াস উদ্দিনকে আহতাবস্থায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নিহত হারুন মোল্লার ভাতিজা জামাল উদ্দিন জানান, বৃহস্পতিবার রাতে হারুন মোল্লার ভাই আমিনুল হকের বাড়ির ওপর দিয়ে হাঁটাহাঁটি করে সাহাব উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি। বিষয়টি বুঝতে পেরে আমিনুল হক সাহাব উদ্দিনকে দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার জুমার নামাজের পর চৌকিদার হাটের মসজিদে আমিনুল হক ও তার ভাতিজা সজিবের (হারুন মোল্লার ছেলের) সঙ্গে সাহাব উদ্দিন, রিয়াদ, রিপন, নাছির, ফরহাদ, রহমানসহ কয়েকজনের পুনরায় কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়।

‘শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ভাতিজা রমিজ উদ্দিনকে নিয়ে মোটরসাইকেলে চৌকিদার হাট বাজারে যাচ্ছিলেন হারুন মোল্লা। চৌকিদার হাটের পশ্চিমে সাদাবুড়ির মসজিদের পাশে নার্সারির সামনে হারুন মোল্লার মোটরসাইকেল পৌঁছালে পরিকল্পিতভাবে গুলি করে সন্ত্রাসীরা। এ সময় হারুন মোল্লাসহ দুজন মোটরসাইকেল থেকে পড়ে যান। পরে হারুন মোল্লাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এরপর স্থানীয়রা এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা ফাঁকা গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়।’

পরে স্থানীয়রা হারুন মোল্লা, তার ভাতিজা রমিজ উদ্দিন এবং নিজেদের হামলায় আহত হামলাকারী গিয়াস উদ্দিনকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম জানান, হারুনুর রশিদ মোল্লাকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। বাকি দুজন চিকিৎসাধীন। হারুনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলির চিহ্ন ও কোপের জখম রয়েছে।

নোয়াখালীর পুলিশ সুপার শহীদুল ইসলাম বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর