বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপর: বন্যার আশঙ্কা

  •    
  • ১৩ আগস্ট, ২০২১ ২৩:২৮

বন্যা পূর্বাভাস ও সর্তকীকরণ কেন্দ্র জানায়, খালিশাচাপানী পয়েন্টে বিকেল ৩টা থেকে পানিপ্রবাহ বেড়ে ৫২ দশমিক ৭০ সেন্টিমিটার হয়। যা বিপৎসীমার ওপর ১০ সেন্টিমিটার বেশি। পানির স্বাভাবিক প্রবাহ ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার।

নীলফামারীতে অবিরাম বৃষ্টি ও উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

জেলায় বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

শুক্রবার বিকেল তিনটার পর থেকে তিস্তার পানিপ্রবাহ বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

পানি প্রবাহ বাড়ার কারণে এরই মধ্যে নিম্নাঞ্চলের অনেক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। দেখা দিয়েছে নদী ভয়াবহ ভাঙন। ঢল সামাল দিতে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।

বন্যা পূর্বাভাস ও সর্তকীকরণ কেন্দ্র জানায়, খালিশাচাপানী পয়েন্টে বিকেল ৩টা থেকে পানিপ্রবাহ বেড়ে ৫২ দশমিক ৭০ সেন্টিমিটার হয়। যা বিপৎসীমার ওপর ১০ সেন্টিমিটার বেশি। পানির স্বাভাবিক প্রবাহ ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার।

ক্রমেই পানি বাড়ার ফলে নীলফামারী জেলার ডিমলা ও জলঢাকা, লালমনিরহাটের কালিগঞ্জ, হাতিবান্ধা উপজেলার তিস্তা অবববাহিকার চরসহ অনেক এলাকার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

এদিকে ডিমলা উপজেলার কিছামত ছাতনাই, ঝাড় শিঙ্গেশ্বর, চর খড়িবাড়ি, পূর্ব খড়িবাড়ি, পশ্চিম খড়িবাড়ি, তিস্তা বাজার, তেলির বাজার, বাইশ পুকুর, ঝুনাগাছচাঁপানীর ছাতুনামা কেল্লাপাড়া, ভেন্ডাবাড়ি, এবং জলঢাকা উপজেলার গোলমুন্ডা ,ডাউয়াবাড়ি ও শৌলমারীর বিস্তীর্ণ এলাকা তলিয়ে যাওয়ায় লোকজন গরু, ছাগল নিয়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। এরই মধ্যে প্রায় ১০ হাজার পরিবার বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন বিভিন্ন এলাকার জনপ্রতিনিধিরা।

ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান বলেন, রাতে প্রচণ্ড বেগে পানি প্রবেশ করায় ছাতুনামা কেল্লাবাড়ি, ভেন্ডাবাড়ি এলাকার পাঁচ শতাধিক পরিবার বন্যার কবলে পড়েছে।

পূর্ব ছাতনাই ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ খান জানান, উজানের ঢল প্রচণ্ড গতিতে প্রবেশ করছে। এতে বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।

খগাখড়িবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম বলেন, ‘একদিকে তিস্তায় বন্যার পানি বাড়ছে, অন্যদিকে অবিরাম বৃষ্টি হচ্ছে। এতে লোকজন চরম দুর্ভোগে পড়েছে। বন্যা কবলিতদের অন্যত্র সরিয়ে নিতে কষ্ট হচ্ছে। কিসামত ছাতনাই গ্রামের প্রতিটি বাড়ি হাঁটু থেকে কোমর পানিতে তলিয়ে গেছে।’

ডালিয়া পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদৌলা জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে তা পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়শ্রী রানী জানান, জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে বন্যা কবলিত পরিবারগুলোকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর