ভোলার লালমোহনের হার্ডিঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে হামলা এবং প্রাণ নাশের হুমকির অভিযোগ এনেছেন সদস্য আব্দুল রহিম।
ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আব্দুল রহিম শুক্রবার সকালে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
চাঁদা না দেয়ায় তার ওপর হামলা চালিয়ে জীবন নাশের হুমকি দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
আব্দুল রহিম বলেন, নার্সারী ও ভেকুর যন্ত্রাংশ বিক্রিসহ বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা করেন তিনি। ব্যবসায় উন্নতি দেখে চেয়ারম্যান আবুল কাশেম বিভিন্ন সময় তার কাছে চাঁদা দাবি করে আসছেন। ১৫ দিন আগে চেয়ারম্যানের আত্মীয় লোকমান, জুয়েল, আরিফসহ কয়েকজন তার কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।
তিনি আরও জানান, চাঁদা দিতে না পারায় স্থানীয় মাদ্রাসা বাজারে তার কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে দুইটি মোটরসাইকেলসহ কক্ষ ভাংচুর করা হয়। বুধবার রাতে এক অনুষ্ঠানে তাকে বোমা মেরে হত্যার চেষ্টা করা হয়। বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় দিন পার করছেন বলে জানিয়েছেন ওই ইউপি সদস্য।
সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল রহিমের স্ত্রী-সন্তানসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ইউপি সদস্যের এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন জানিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম জানান, নির্বাচনে ইমেজ খারাপ করতে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। ১১ আগস্ট সন্ধ্যায় মাদ্রাসা বাজারে আতশবাজি ফুটিয়ে দলের কর্মীরা জন্মদিনের অনুষ্ঠান করে বলে জানান চেয়ারম্যান।
ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ এনে চেয়ারম্যান বলেন, রহিম তার ওয়ার্ডে বিভিন্ন জালিয়াতিসহ টাকার বিনিময়ে বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধীদের ভাতা কার্ড দিয়েছেন। লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাকসুদুর রহমান জানান, নিরাপত্তা চেয়ে ওই ইউপি সদস্য লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।