শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় মানিকগঞ্জের ঘিওরে চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদ ও এটিএন নিউজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিও) আশফাক মিশুক মুনীরের ১০তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
উপজেলার জোকা এলাকায় দুর্ঘটনাস্থলে স্মৃতিফলকে শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে ফুল দেন বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
নিহতদের স্মরণে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে বৃক্ষরোপণ করা হয়।
তারেক মাসুদ-মিশুক মুনীর স্মৃতি সংঘ, মানিকগঞ্জ প্রেস ক্লাব, বারসিকসহ বিভিন্ন সংগঠনের আয়োজনে স্মৃতিচারণা ও বিভিন্ন দাবি-দাওয়ায় দুর্ঘটনাস্থলে পথসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
তারেক মাসুদ-মিশুক মুনীর স্মৃতি সংঘের সাধারণ সম্পাদক রিপন আনসারী বলেন, ‘তাদের স্মৃতি রক্ষায় জোকা এলাকায় বড় করে একটি স্মৃতিফলক ও ভাস্কর্য নির্মিত হলে কিছুটা হলেও তাদের সম্মান রক্ষা করা হবে। এর মাধ্যমে আগামী প্রজন্ম তাদের শ্রদ্ধায় স্মরণ করতে পারবে। মর্মান্তিক এ সড়ক দুর্ঘটনার কারণ জানতে পারবে।’
সমাবেশে মানিকগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব চক্রবর্তী, স্মৃতি সংঘের রুহিদাশ চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক রিপন আনসারী, রেইনবো থিয়েটার প্রতিষ্ঠাতা জিনি আলম, বারসিকের সুবীর সরকারসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
২০১১ সালের এ দিনে মানিকগঞ্জের ঘিওরে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীর। তাদের সঙ্গে থাকা আরও তিনজনের মৃত্যু হয়।
নিহতরা হলেন, মাইক্রোবাসচালক মুস্তাফিজুর রহমান, তারেক মাসুদের প্রোডাকশন ম্যানাজার ওয়াসিম ও কর্মী জামাল।
মানিকগঞ্জের শিবালয়ের শালজানা গ্রামের নতুন একটি সিনেমার (কাগজের ফুল) লোকেশন দেখতে যান তারেক মাসুদ, তার সহধর্মিণী ক্যাথরিন মাসুদ, মিশুক মুনীরসহ ৯ সদস্যের একটি দল।
লোকেশন দেখে ঢাকায় ফেরার পথে পাটুরিয়াগামী চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্স পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে তাদের বহন করা মাইক্রোবাসের সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসটি দুমড়েমুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরসহ পাচজন নিহত ও তিনজন গুরুতর আহত হন।