পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি ও তীব্র স্রোতের কারণে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ সময় লাগছে ফেরি পারাপারে। ফলে ঘাটে বাড়ছে অপেক্ষমাণ যানবাহনের সংখ্যা।
ফেরি পারের জন্য শুক্রবার বিকেলে পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় পাঁচ শতাধিক যানবাহনের লাইন দেখা গেছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন অপেক্ষায় থাকা যাত্রীরা।
পাটুরিয়া ঘাটে নৌচলাচল ব্যাহত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)।
বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয় সূত্র জানায়, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ১৮টির মধ্যে এখন ১৭টি ফেরি যাত্রী পার করছে। স্বাভাবিকভাবে এ রুটে ফেরি পার হতে আধা ঘণ্টা সময় লাগে। কিন্তু পদ্মায় পানি বেড়ে যাওয়া ও স্রোতের তীব্রতা থাকায় ফেরিগুলো পার হতে ১ ঘণ্টার বেশি সময় লাগছে।
শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় ঘাটে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। আবার যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান নামে একটি ফেরি ভাসমান কারখানায় মেরামত চলছে।
ঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, সকাল থেকে এ রুটে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে জট তৈরি হয়েছে। ট্রাক টার্মিনালেই অপেক্ষায় রয়েছে পণ্যবাহী অনেক ট্রাক। রাস্তায়ও যাত্রীবাহী বাসের লম্বা লাইন।
বাসযাত্রী শেখ আরশেদ আলী বলেন, ‘দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে ফেরি পারের জন্য অপেক্ষা করছি। কিন্তু যানজটের কারণে গাড়ি এখনও ফেরিতে উঠতে পারেনি। গরমে বাসে বসে থাকতে বিরক্ত লাগছে।’
ট্রাকচালক সোলাইমান জানান, টার্মিনালে ঢুকে গত রাত থেকে অপেক্ষা করলেও এখনও ঘাটের টিকিট পাননি তিনি। কখন পাবেন তাও অনিশ্চিত। পদ্মায় পানি বাড়ার কারণে এ অবস্থা বলে তিনি মনে করেন।
আরিচা পয়েন্টের গ্রেড রিডার ফারুক হোসেন বলেন, ‘কয়েক দিন ধরেই পদ্মার পানি বাড়ছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় আরিচা পয়েন্টে পানি বেড়েছে ৪ সেন্টিমিটার।’
বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার জিল্লুর রহমান জানান, পদ্মায় পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্রোতও বাড়ছে। স্রোতের কারণে ফেরি পারাপার ব্যাহত হচ্ছে। এতে ঘাট এলাকায় যানবাহনের সংখ্যা বাড়ছে।