চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক ব্যবসায়ীকে মারধর করেছেন শাখা ছাত্রলীগের এক কর্মী।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী হল মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার ব্যবসায়ীর নাম মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম। তিনি চবি ইসলামিক ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী।
মারধরের অভিযোগ ওঠা ছাত্রলীগ কর্মীর নাম মুজাহিদ চৌধুরী। তিনি সংস্কৃত বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী। তিনি শাখা ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক গ্রুপ বিজয়ের কর্মী বলে জানা গেছে।
রাশেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি একটা কোম্পানির ডিলার হিসেবে কাজ করি। আজ (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ে মালপত্র ডেলিভারি দিতে আসলে মুজাহিদ গাড়ি থেকে নেমে আমাকে মোবাইল চোর বলে মারধর করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি বিষয়টা প্রক্টরকে জানিয়েছি। আমি থানায় অভিযোগ দিব। এর আগেও সে আমার দুই ভাইকে মেরেছে।’
মারধরের বিষয়টি স্বীকার করেছেন মুজাহিদ। তবে তার দাবি, রাশেদ জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার গায়েবানা জানাজায় অংশ নিয়েছেন। সেই ভিডিও তার কাছে আছে। রাশেদ শিবিরের ছেলে। ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে আসলে তিনি প্রতিহত করেছেন।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি প্রক্টরের কার্যালয়ে এক শিক্ষার্থীকে মারধর করে সমালোচিত হন মুজাহিদ। গত বছরের ২ অক্টোবর সমাজবিজ্ঞান অনুষদের আলমগীর নামে এক কর্মকর্তাকেও মারধর করেন তিনি।
এ ছাড়া চবির প্রকৌশল দপ্তরের প্রকৌশলীকে মুঠোফোনে হুমকি দেয়া এবং দপ্তরে তালা দেয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
একাধিকবার বিতর্কিত কাজের অভিযোগ উঠলেও এখন পর্যন্ত কার্যত কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
চবি প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভুঁইয়া বলেন, ‘ভিকটিমকে বলেছি লিখিত একটি অভিযোগ দেয়ার জন্য। এ ছাড়া আগামী সোমবার তাদের দুজনকে প্রক্টর অফিসে আসতে বলা হয়েছে।’
চবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু বলেন, ‘বিষয়টি পুরোপুরি অবগত নই। আমি সভাপতির সঙ্গে কথা বলে খোঁজ নিয়ে জড়িতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব।