পাবনার ঈশ্বরদীতে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই গৃহবধূর শাশুড়িকে থানায় নেয়া হয়েছে।
উপজেলার সাঁড়াগোপালপুর গ্রামের ইরকোন গেট এলাকায় ওই গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
ওই গৃহবধূর নাম মেঘলা খাতুন। তিনি ইরকোন গেট এলাকার আশিক ইসলামের স্ত্রী ও একই উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের সিভিলহাট গ্রামের হাফিজুল ইসলামের মেয়ে।
পুলিশ জানায়, এ ঘটনার পর থেকে মেঘলার স্বামী আশিক পলাতক। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আশিকের মা মুরশিদা খাতুনকে পুলিশি হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
মেঘলার শ্বশুর আশরাফুল ইসলাম জানান, বুধবার রাতে নিজেদের ঘরেই ঘুমায় আশিক ও মেঘলা। সকালে তাদের ঘরে গেলে ঘরের আড়ার সঙ্গে মেঘলার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান তিনি। তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে বিষয়টি থানায় জানান।
এলাকাবাসী জানান, প্রায় ছয় মাস আগে আশিক ও মেঘলার বিয়ে হয়।
মেঘলার বাবা হাফিজুল অভিযোগ করে বলেন, ‘আশিকই আমার মেয়েকে নির্যাতন করে মেরে ফেলেছে। আত্মহত্যা বলে চালানোর জন্য তার লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে।’
এ বিষয়ে ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) ফিরোজ কবির জানান, প্রাথমিক সুরতহালে মেঘলার শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
এ ঘটনায় থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।