বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গুদাম থেকে চিনি গায়েব: দুদকের মামলা

  •    
  • ১২ আগস্ট, ২০২১ ১৯:০৬

কুষ্টিয়া চিনিকলের গুদাম থেকে ৫২ দশমিক ৭ টন চিনি উধাওয়ের ঘটনা ধরা পড়ে গত ৩ জুন। সেদিনই গুদামের স্টোরকিপার ফরিদুল হককে বরখাস্ত করা হয়। চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাকিবুর রহমান খান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

কুষ্টিয়া চিনিকলের গুদাম থেকে ৫০ টনের বেশি চিনি গায়েবের ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির উপব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার দুপুরে দুদকের কুষ্টিয়া সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক নীল কমল পাল মামলাটি করেন।

বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন দুদকের কুষ্টিয়া সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. জাকারিয়া।

মামলার আসামিরা হলেন কুষ্টিয়া চিনিকলের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আল-আমীন, গুদামরক্ষক ফরিদুল হক ও সর্দার বশির উদ্দিন নামের এক শ্রমিক।

জাকারিয়া বলেন, ‘কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে মামলার বিষয়ে অর্ডার জারি করা হয়েছে।’

কুষ্টিয়া চিনিকলের গুদাম থেকে ৫২ দশমিক ৭ টন চিনি উধাওয়ের ঘটনা ধরা পড়ে গত ৩ জুন। সেদিনই গুদামের স্টোরকিপার ফরিদুল হককে বরখাস্ত করা হয়।

চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাকিবুর রহমান খান এ তথ্য জানান।

চিনিকল কর্তৃপক্ষ এ ঘটনায় ৫ জুন রাতে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে। সেখানে কাউকে অভিযুক্ত করা হয়নি।

হদিস না পাওয়া চিনির দাম ৩৩ লাখ ২০ হাজার টাকা।

চিনিকলের মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) হাবিবুর রহমান নিউজবাংলাকে জানান, দীর্ঘদিন গুদাম খালি হয়নি। এবার চিনিকল বন্ধ হওয়ার পর মজুত শেষ হয়ে আসে। রেজিস্ট্রার ও গুদামের চিনির হিসাব মেলাতে গিয়ে ধরা পড়ে ১০০ টনের মতো থাকার কথা থাকলেও ৫২ দশমিক ৭ টন চিনি কম আছে।

৬ জুন রাত থেকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পাঁচ সদস্যের একটি দল এ ঘটনার তদন্ত শুরু করে।

তদন্ত দল চিনিকলের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আমীন, গুদামরক্ষক ফরিদুল হক ও সর্দার বশির উদ্দিন নামের এক শ্রমিকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা এবং কয়েকজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়াসহ পাঁচ দফা সুপারিশ করে।

বিভাগীয় ব্যবস্থা হিসেবে গুদামের দুই নিরাপত্তা রক্ষীকে অব্যাহতি এবং অভিযুক্ত তিনজনকে বরখাস্ত করে চিনিকল কর্তৃপক্ষ।

ওই কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী কুষ্টিয়া মডেল থানায় অভিযোগ করে চিনিকল কর্তৃপক্ষ। থানা থেকে সেই অভিযোগ দুদকে পাঠানো হয়।

দুদক কুষ্টিয়া জেলা সমন্বিত কার্যালয় অভিযোগটি মামলা হিসেবে নেয়ার জন্য কমিশনের অনুমতি চায়। অনুমতি আসার পরই বৃহস্পতিবার মামলা করা হয়।

চিনিকলের শ্রমিক নেতাদের অভিযোগ, বাইরে বিক্রির সময় ওইসব ট্রাকেই চিনি পাচার করেছে চিনিকলেরই একটি চক্র। এ কারণে দিনের পাশাপাশি রাতেও চিনির ট্রাক বের হতো গুদাম থেকে। এর আগে গোডাউন ধসে কিছু চিনি নষ্ট হয়। তখনও চিনি পাচার হতে পারে।

বিপুল লোকসান আর দেনার দায় নিয়ে বন্ধ রয়েছে কুষ্টিয়া চিনিকল। এখন পর্যন্ত এর লোকসান প্রায় ৬০০ কোটি টাকা।

এ বিভাগের আরো খবর