বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

৩ কিমি জট দৌলতদিয়ায়, ট্রাকের দীর্ঘ সারি

  •    
  • ১২ আগস্ট, ২০২১ ১৬:২৬

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকায় যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। এদিকে, ফেরিঘাট থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের গোয়ালন্দ মোড়ে আরও ৪ কিলোমিটার এলাকায় পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে।

লকডাউন শিথিল হওয়ায় যানবাহনের চাপ বেড়েছে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে। একই সঙ্গে নদীতে তীব্র স্রোত থাকায় ফেরি চলাচল স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে দ্বিগুনেরও বেশি সময় লাগার কারণে ঘাট এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে দীর্ঘ যানজট।

সেখানে গিয়ে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকায় যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ সারি।

এছাড়াও ফেরিঘাট থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের গোয়ালন্দ মোড়ে আরও ৪ কিলোমিটার এলাকায় পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে।

এসব পণ্যবাহী ট্রাকগুলো বুধবার বিকেল থেকে রাতের মধ্যে এসেছে। ওই এলাকাতে নেই খাবার হোটেল। ফলে কোন কোন ট্রাক চালককে খাবার খেতে হলে তিন কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে গোয়ালন্দ মোড় অথবা কল্যাণপুর বাজারে গিয়ে খাবার খেতে হচ্ছে।

বুধবার বিকেলে এসেছি। ফেরি ঘাট থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে গোয়ালন্দ মোড়ে আটকে আছি। নেই খাবার হোটেল, নেই কোন দোকান পাট। সন্ধ্যার পরে ভূতুড়ে পরিবেশ সৃষ্টি হয় এই এলাকায়। সড়কে নেই কোন বাতি। ঘুমানোর জায়গা না থাকায় রাস্তায় সারা রাত গামছা পেতে ঘুমিয়েছি। কখন ফেরিতে উঠবো সেটা জানি না। চুয়াডাঙ্গা থেকে ফেরি পার হতে আসা পণ্যবাহী ট্রাক চালক হাসান শেখ এভাবে জানিয়েছে ভোগান্তির কথা।

বাথরুমের ব্যবস্থা না থাকায় আশপাশের মাঠে গিয়ে কাজ সাড়তে হচ্ছে। ঘুমানোর জায়গা না থাকায় লুঙ্গি বা গামছা পেতে ট্রাকের নিচে বা মহাসড়কের পাশে ঘুমাতে হচ্ছে। এক কথায় চরম ভোগান্তিতে রয়েছে ফেরি পারের অপেক্ষায় থাকা পণ্যবাহী ট্রাক চালক ও তার সহযোগীরা।

যশোর থেকে আসা চালক রফিকুল ইসলাম জানায়, আমাদের ভোগান্তির শেষ কোথায়? ২০ মিনিটের পথ পাড়ি দিতে সময় লাগছে দুই দিন। ঘাট এলাকায় আটকে থাকলেও দুই বেলা খেতে পারতাম। এমন একটা জায়গায় আছি যেখানে খাবারের ব্যবস্থাও নেই।

কুষ্টিয়া থেকে আসা চালক রবিন হোসেন জানান, বুধবার দিবাগত রাত দুই টায় গোয়ালন্দ মোড়ে এসেছি। ফেরি ঘাটে প্রচুর জ্যাম থাকায় পুলিশ এখানে আটকে রেখেছে। যে এলাকায় সারা রাত ছিলাম সেখানে নেই আলোর ব্যবস্থা। খাবার হোটেল না থাকায় কলা আর রুটি খেয়ে রাত কাটিয়েছি।

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মো. শিহাব উদ্দিন বলেন, ‘পদ্মায় তীব্র স্রোতের কারণে দ্বিগুনের বেশি সময় লাগছে ফেরি পারাপারে। এছাড়াও লকডাউন শিথিল হওয়ার কারণে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। যে কারণে ঘাট এলাকায় যানবাহনের দীর্ঘ জট সৃষ্টি হয়েছে।

‘তবে যাত্রীবাহী পরিবহনের কোন সিরিয়াল নেই। ফলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যাত্রীবাহী পরিবহনগুলো কোন প্রকার ভোগান্তি ছাড়াই ফেরি পারাপার হয়ে গন্তব্যে চলে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে ঘাট এলাকায় আটকে থাকা পণ্যবাহী ট্রাকগুলো যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে পারাপার করা হচ্ছে। এই রুটে ছোট বড় মিলে মোট ১৫টি ফেরি চলাচল করছে।

এ বিভাগের আরো খবর