মা থাকেন যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটির সরকার থেকে পেয়েছেন বয়স্কভাতা। মায়ের ওই টাকা সাত ক্ষুদে ফুটবলারের পেছনে খরচ করলেন ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন।
এসব ফুটবলার আলোচিত এই আইনজীবীর নামে গড়ে তোলা ‘সুমন ফুটবল অ্যাকাডেমি’ এর প্রশিক্ষণার্থী। এর মধ্যে তিন ফুটবলারকে অটোরিকশা ও চার ফুটবলারকে মোটরসাইকেল কিনে দিয়েছেন সুমন।
বুধবার বিকেলে ফুটবল প্রশিক্ষণ শেষে সাত ক্ষুদে ফুটবলারের হাতে তুলে দেয়া হয় মায়ের টাকায় কেনা নতুন গাড়িগুলো।
নিজের ফেসবুক পেজে বুধবার রাতে ‘জীবনের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত নিপীড়িত মানুষের পাশে থাকতে চাই’ শিরোনামে আপলোড করা একটি ভিডিওতে বিষয়টি জানান সুমন।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখেছিলেন সোনার বাংলার। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে আমি আমার জায়গা থেকে চেষ্টা করে যাচ্ছি। আজকে আমার পেছনে দেখতেছেন চারটা মোটরসাইকেল আছে এবং তিনটা অটোরিকশা আছে।
‘আমার মা আমেরিকাতে থাকেন। বয়স্ক হিসেবে ৫ লাখ টাকা ভাতা পেয়েছেন তিনি। আমি ছোট ছেলে হিসেবে আমাকে পাঁচ লাখ টাকা পাঠাইছেন। আমার যদি কখনও বিপদ হয় তাইলে যেন আমি এই পাঁচ লাখ টাকা খরচ করি, কিন্তু আমি বিশ্বাস করি বিপদের মালিক আল্লাহ, বিপদ থেকে রক্ষা করার মালিকও আল্লাহ।’
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘যদি আল্লাহ আমাকে বিপদমুক্ত রাখেন তাহলে আমার টাকার কোনো প্রয়োজন হবে না। এজন্য এই টাকা দিয়ে আমি আমার অ্যাকাডেমির সাতজন ছেলেকে অটোরিকশা এবং মোটরসাইকেল দিয়েছি এই পাঁচ লাখ টাকার মধ্যে।
‘আমার কাছে মনে হয়েছে এর চেয়ে তৃপ্তি আর হতে পারে না। যে যার জায়গা থেকে সোনার বাংলা বানাইতে হবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করলে আমি মনে করি বক্তব্যের মধ্যে না, মানুষকে আপনি দান করতে করতে যখন নিঃশেষ হয়ে যাবেন তখন মানুষ এমনিতেই বলবে আপনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক। আপনি একজন ভালো মানুষ।’
আলোচিত এই আইনজীবী বলেন, ‘বয়স আপনার ৮০ বা ৯০ সেটা দেখার বিষয় না। আপনি আপনার জীবিত সময়ে মানুষের জন্য কী পরিমান সেবা করছেন এটার জন্য সভ্যতায় আপনার নাম লেখা থাকবে।
‘আমরা যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করি, আমি বিশ্বাস করি- আমার কিছু বলা লাগবে না, আমার কর্মই হবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারিদের মতো।’