বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

৩ জেলায় বজ্রপাতে প্রাণ গেল ৮ জনের

  •    
  • ১১ আগস্ট, ২০২১ ১৯:৫০

বজ্রপাতে ময়মনসিংহ, জামালপুর ও শেরপুরের কয়েকটি উপজেলায় বুধবার দুপুরে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছেন ছয় কৃষক ও দুই শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় আরও সাতজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

বজ্রপাতে ময়মনসিংহ বিভাগের তিন জেলায় ছয় কৃষকসহ আট জনের প্রাণ গেছে।

ময়মনসিংহ, জামালপুর ও শেরপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বুধবার দুপুরে এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে তাদের মৃত্যু হয়। নিহতদের মধ্যে ছয়জন কৃষক ও দুইজন ছাত্র। বজ্রপাতের ঘটনায় আরও সাতজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

ময়মনসিংহ

জেলার ঈশ্বরগঞ্জ ও ফুলপুর উপজেলায় জমিতে কাজ করার সময় বজ্রপাতে দুই কৃষকের মৃত্যু হয়। এছাড়া নান্দাইলে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছে আরও এক কৃষক।

নিহতরা হলেন, ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার আশ্রফপুর গ্রামের রুবেল মিয়া, ফুলপুর উপজেলার নারকেলি গ্রামের বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেন ও নান্দাইল উপজেলার উলুহাটি গ্রামের দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা রবিন মিয়া।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদির জানান, দুপুর সোয়া ১টার দিকে বৃষ্টির মধ্যেই ফসলের মাঠে কাজ করছিলেন রুবেল। এ সময় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।

ফুলপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল মোতালেব চৌধুরী জানান, দুপুর দেড়টার দিকে বাড়ির পাশে জমিতে কাজ করছিলেন কৃষক দেলোয়ার। তখন বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। মরদেহ নিহতের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর একটি মামলা হয়েছে।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে নান্দাইল মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সজিব রহমান বলেন, দুপুর ২টার দিকে বাড়ির পাশে নিজেদের জমিতে কাজ করতে যাচ্ছিলেন স্কুল শিক্ষার্থী রবিন। পথে বজ্রপাত হলে তার মৃত্যু হয়। এ সময় গ্রামের দুলাল মিয়া নামে আরেকজন কৃষক আহত হয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা হবে।

জামালপুর

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে পাট কাটার সময় বজ্রপাতে দুলাল মিয়া নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।

তার বাড়ি উপজেলার সাতপোয়া ইউনিয়নের চর রৌহা পশ্চিম পাড়া গ্রামে।

নিহতের স্বজনরা নিউজবাংলাকে জানান, দুপুর ১টার দিকে বৃষ্টির মধ্যেই বাড়ির পাশে পাট কাটতে যান দুলাল। এ সময় বজ্রপাতে গুরুত্বর আহত হন। পরে তাকে সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

সরিষাবাড়ি থানার ওসি মীর রকিবুল হক জানান, এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এছাড়া উপজেলার তারাকান্দিতে বজ্রপাতে একই পরিবারের তিন সদস্য সালাম, ফেরদৌসি ও ফাতেমা গুরুত্বর আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

শেরপুর

বজ্রপাতে শেরপুর সদর ও নকলায় দুইজন কৃষক এবং শ্রীবরদীতে দুইজন ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও তিন কৃষক।

নিহত কৃষক মোস্তফা মিয়ার বাড়ি সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর দড়িপাড়া গ্রামে। আজিজুল হকের বাড়ি নকলা উপজেলার লাভা গ্রামে। আরমান ও রাসেলের বাড়ি শ্রীবরদী উপজেলার ঝিনাইগাতীর পাইকুড়া গ্রামে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, দড়িপাড়া গ্রামের আবাদি জমিতে ধানের চারা রোপণ করছিলেন কয়েকজন। এ সময় বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাতে মৃত্যু হয় মোস্তফা মিয়ার। এ ঘটনায় দুজন আহত হন। আহতরা হলেন সাইদ ও বদু মিয়া।

এদিকে ধানের চারা রোপন করার সময় বজ্রপাতে লাভা গ্রামে আজিজুল হক মারা যান ও একজন কৃষক আহত হন।

অপরদিকে শ্রীবরদীর গোসাইপুর গ্রামে খেলতে গিয়ে বজ্রপাতে নিহত হন নানা বেড়াতে আসা আরমান। রাসেলও মারা যান খেলতে গিয়ে বজ্রপাত কবলে পড়ে।

শেরপুর জেলা হাসপাতালের আরএমও ডা: খায়রুল কবির সুমন হাসপাতালে আহত দুইজন ভর্তির কথা নিশ্চত করেছেন।

সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা তাদের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।

এ বিভাগের আরো খবর