শেরপুরে টানা ২ দিনের বর্ষণে রাস্তার কালভার্ট ও সংযোগ সড়কের ৩০ ফুট রাস্তা ভেঙে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন মানুষজন। এতে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে চার গ্রামের দুই হাজার মানুষের যোগাযোগব্যবস্থা।
চরশেরপুর ইউনিয়নের নামাপাড়া-মোবারকপুর ব্রিজ পর্যন্ত ইটের সড়কের ভাঙা স্থানে মঙ্গলবার বিকেলে দেখা গেছে চলাচলের ভোগান্তির এমন চিত্র।
টানা বর্ষণে পানি নেমে যাওয়ার তীব্র স্রোতে ওই কালভার্ট ও তার দুই পাশের সংযোগ সড়ক ভেঙে পড়েছে। ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে গিয়ে ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনা।
ইউনিয়নের যোগিনীমুরা ডাকাতপাড়া (নীচপাড়া), নামাপাড়া ও কাজিরচরসহ তিন গ্রামের দুই সহস্রাধিক মানুষের চলাচল বন্ধ রয়েছে।
যোগিনীমুরা গ্রামের স্কুলশিক্ষক সাইফুল আলম বলেন, ‘কালভার্ট রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় আমরা দুর্ভোগ পোহাচ্ছি। আমরা দ্রুততম সময়ে স্থায়ী ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কর্তৃপক্ষের যথাযথ দৃষ্টি কামনা করছি।’
নামাপাড়া গ্রামের এস এম নুরুল ইসলাম বাবুল বলেন, নামাপাড়া-যোগিনীমুরা ব্রিজ পর্যন্ত কালভার্ট ও রাস্তার কিছু অংশ সম্প্রতি ভেঙে গেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা অনেক আবেদন করছি, কিন্তু কাজ হচ্ছে না।’
কালভার্ট ভেঙে ভোগান্তিতে পড়েছেন শেরপুরের চার গ্রামের মানুষ। ছবি: নিউজবাংলা
স্থানীয় ইউপি সদস্য নাঈম আহাম্মেদ মনি বলেন, ‘আমরা বিষয়টি নিয়ে এরই মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলেছি।’
এ ছাড়া ২নং চরশেরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন সুরুজ বলেন, ‘পরিষদের ফান্ডে এত টাকা নেই। আমরা তাই এটি করতে পারব না। এটা উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকেই করতে হবে।’
শেরপুর প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মেরাজ উদ্দিন বিষয়টি নিয়ে শেরপুরের জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করে সমস্যার সমাধানের দাবি জানান।
পরে জেলা প্রশাসক মোমিনুর রশিদের নির্দেশে শেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফিরোজ আল মামুন ক্ষতিগ্রস্ত কালভার্ট ও রাস্তা পরিদর্শন করেন।
ব্রিজ করার জন্য উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তবে সাময়িকভাবে মানুষের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য ইউনিয়ন পরিষদকে একটি বরাদ্দ দেয়ার চেষ্টার কথা জানান জেলা প্রশাসক।