ঈদ-পরবর্তী লকডাউন শেষ হওয়ার প্রথম দিনেই চাঁদপুর লঞ্চঘাটে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। অতিরিক্ত যাত্রী নিয়েই ঘাট থেকে ছেড়ে যাচ্ছে লঞ্চ।
যাত্রীদের চাপ সামাল দিতে না পেরে নির্ধারিত সময়ের আগেই ঘাট ছাড়ছে লঞ্চ। বুধবার ভোর ৬টা থেকে ১১টা পর্যন্ত চাঁদপুর থেকে ১০টি এবং ঢাকা থেকে ২টি যাত্রীবাহী লঞ্চ চাঁদপুর ঘাটে এসে ভিড়েছে।
অতিরিক্ত যাত্রীচাপে স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘিত হচ্ছে বলে জানান যাত্রীরা।
সরেজমিনে ঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। কোনো প্রকার দূরত্বই মানা হচ্ছে না। যাত্রীরা গাঁ ঘেঁষে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছে লঞ্চের জন্য। আর ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া লঞ্চের চিত্রও একই।
অনেকের মুখে মাস্ক থাকলেও অনেক যাত্রীকে তা পড়তে দেখা যায়নি।
এমভি মিতালী লঞ্চের মালিক প্রতিনিধি জিল্লুর রহমান বলেন, ‘অনেক দিন পর লঞ্চ চলাচল শুরু হওয়ায় যাত্রীদের ব্যাপক চাপ রয়েছে। আমরা নিষেধ করার পরও অনেক যাত্রী লঞ্চে উঠে পড়ছেন।
‘বাধ্য হয়ে সময়ের আগেই ঘাট থেকে ছেড়ে যাচ্ছে লঞ্চগুলো। যাত্রীদের তীব্র চাপ থাকায় ধারণ ক্ষমতার কিছুটা বাড়তি যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে।’
হাজীগঞ্জ থেকে আসা ঢাকাগামী যাত্রী তারিখ হোসেন জানান, তিনি সকাল ৭টায় ঘাটে এসে ৩ ঘণ্টা পরও লঞ্চে উঠতে পারেননি ভয়ে। যাত্রীদের ব্যাপক চাপে চিড়েচ্যাপ্টা হওয়ার উপক্রম।
ফরিদগঞ্জ থেকে আসা যাত্রী জামিল হোসেন বলেন, ‘ঘাটের যেই অবস্থা, এভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানা সম্ভব না। এতে করে করোনা হওয়ার সম্ভাবনা নিয়েই কর্মস্থলে ফিরে যাচ্ছি। এছাড়া কোনো উপায়তো নেই।’
বাংলাদেশ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) চাঁদপুর বন্দরের উপপরিচালক কায়সারুল ইসলাম বলেন, ‘সকাল থেকেই যাত্রীদের চাপ লক্ষণীয় পর্যায়ে। অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে যেন লঞ্চ চলাচল করতে না পারে সে ব্যাপারে নজরদারি করা হচ্ছে।
‘আশা করি, বিকেল নাগাদ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।’