চট্টগ্রাম থেকে নিয়মিত ইয়াবার চালান এনে গাজীপুরে বিক্রি করতেন এক যুবক। গত ২৯ মার্চ দেড় হাজার ইয়াবা নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে গাজীপুরে আসেন তিনি। কিন্তু ইয়াবার চালান হাতে বুঝে পাওয়ার পর টাকা আত্মসাৎ করতে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে মাদক কারবারিরা।
হত্যার পর মরদেহ গুম করতে বস্তায় ভরে চিলনী বিলের মাছের খামারে লুকিয়ে রাখেন তারা। ঘটনার চার মাস পর গাজীপুর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে। এ ঘটনায় জড়িত দুজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও নিহত ওই যুবকের পরিচয় মেলেনি।
মঙ্গলবার বিকেলে এসব তথ্য জানান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও গাজীপুর পিবিআইয়ের পরিদর্শক এ কে এম রেজাউল করিম।
তিনি জানান, গত ২৯ মার্চ গাজীপুরের জয়দেবপুর থানার চিলনী বিলে পুলিশ অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে। পরদিন অজ্ঞাতপরিচয়দের আসামি করে সদর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই ননী গোপাল সরকার বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। পিবিআই মামলাটির ছায়া তদন্ত করছিল।
মামলার তদন্তের এক পর্যায়ে গাজীপুর সদর উপজেলার বাড়িয়া ইউনিয়নের কামারিয়া এলাকার বাসিন্দা শিমুল মোল্লা ও একই এলাকার শরীফ খানের নাম উঠে আসে। গত ৫ আগস্ট তাদেরকে কামারিয়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই।
গ্রেপ্তার শিমুল মোল্লা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানান, তিনি দীর্ঘদিন এলাকায় ইয়াবার ব্যবসা করে আসছিলেন। অজ্ঞাতপরিচয় নিহত ওই ব্যক্তি নিয়মিতভাবে চট্টগ্রাম থেকে ইয়াবা এনে তাদের কাছে বিক্রি করতেন। ঘটনার দিন ভিকটিম দেড় হাজার ইয়াবা নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে তাদের কাছে আসেন। ইয়াবার টাকা না দেয়ার জন্যই তাকে হত্যা করে লাশ গুম করার জন্য চিলনী বিলের মাছের খামারের পানিতে ফেলে দেয়া হয়।
পিবিআইয়ের এই পরিদর্শক আরও জানান, ভিকটিমের নাম-ঠিকানা শিগগিরই শনাক্ত হবে। গ্রেপ্তার শিমুল মোল্লা হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্যান্য সহযোগীদের নাম উল্লেখ করে সোমবার গাজীপুর আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।