বরিশাল আদালতে সাইবার ট্রাইব্যুনাল চালু করায় এতে প্রথম মামলা করেছেন অবসর পূর্ব ছুটিতে যাওয়া উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা।
২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫, ২৬, ২৯, ৩৫ ধারায় মঙ্গলবার ১৬ জনের নামে মামলাটি করেন নুরুল ইসলাম জোমাদ্দার। তার বাড়ি ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলায়।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
নুরুলের আইনজীবী আজাদ রহমান নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, এই মামলায় ফিরোজ আলম জোমাদ্দার, জাকির হোসেন সাইদুল জোমাদ্দার, ওবায়দুল জোমাদ্দার, সাইফুল জোমাদ্দার, হৃদয় জোমাদ্দার, নজরুল ইসলাম, আমির সোহেল, স্বপন জোমাদ্দার, মনির জোমাদ্দার, সুমনা আক্তার, জাহানারা বেগম, রেহেনা বেগম হাওয়া, শাহিনুর বেগম, লিলি বেগম, তানিয়া বেগম ও নলছিটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) অফিসের উপসহকারী প্রকৌশলী শাহাদাৎ হোসেনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় বলা হয়েছে, নুরুল ইসলাম চলতি বছরের ১ এপ্রিল অবসর পূর্ব ছুটিতে যান। ২০১৯-২০ অর্থবছরে জলবায়ু সহনশীল অবকাঠামো প্রকল্পের আওতায় ২০২০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি নলছিটি উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়নের ইছাপাশা গ্রামে তিনটি প্রকল্পের চুক্তি হয়। প্রকল্প তিনটির ব্যয় ধরা হয় ২৪ লাখ ৫ হাজার ৩৯৩ টাকা।
প্রকল্পে গ্রামের হতদরিদ্র ৪৬ জন শ্রমিককে দিনপ্রতি ৩০০ টাকা মজুরি দিয়ে কাজ করিয়ে নেয়ার উল্লেখ ছিল। ফিরোজ আলম জোমাদ্দার শ্রমিকদের না নিয়ে ভেঁকু মেশিন দিয়ে কাজটি করিয়ে নেন। শ্রমিকদের জন্য বরাদ্দ টাকা আত্মসাৎ করেন।
প্রকল্পে উল্লেখ ছিল, যদি কাজে কোনো অনিয়ম পাওয়া যায় তাহলে প্রকল্পে পুরো টাকা ফেরত দিতে হবে।
নুরুল ইসলাম বলেন, ‘শ্রমিকরা বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিলে ফিরোজ আলম জোমাদ্দার ২০২০ সালের ৬ মে ফেসবুকে আমার নামে ঘুষ নেয়ার মিথ্যা অপপ্রচার করে। জাকির হোসেন সাইদুল জোমাদ্দার আমার বিরুদ্ধে জমি দখলের স্ট্যাটাস দেয়। সোহেল মল্লিক, সাইফুল ইসলাম জোমাদ্দার, স্বপন জোমাদ্দার, নজরুলও আমাকে অপবাদ দিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়।
‘মামলার বাকি আসামিরাও তাদের নানাভাবে সমর্থন দেয়। তাদের কারণে সমাজে আমার সম্মানহানি হয়েছে।’
আইনজীবী আজাদ রহমান জানান, মামলাটি আমলে নিয়ে বিচারক গোলাম ফারুখ পিবিআইকে তদন্ত করে ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন জমার নির্দেশ দিয়েছেন।