নাটোর সদর আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলামের বাবা হাসান আলী সরদারকে রাজাকার বলায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. সুজিত সরকার ও নাটোর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউল আযম স্বপনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে।
নাটোরের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে মামলাটি করেন সংসদ সদস্যের ছোট ভাই সাজেদুল ইসলাম সাগর।
বিচারক এ এফ এম গোলজার রহমান অভিযোগ আমলে নিয়ে বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে সিপিসি-২, র্যাব-৫, নাটোর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. সানরিয়া চৌধুরীর ওপর তদন্তের ভার দিয়ে ৩১ আগস্টের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেন।
মামলার বাদী সাজেদুল ইসলাম সাগর তার অভিযোগে বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. সুজিত সরকার তার লেখা গ্রন্থ ‘নাটোর জেলার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস' এবং 'নাটোর জেলার ইতিহাস-ঐতিহ্য ও মুক্তিযুদ্ধ' নামের গ্রন্থে হাসান আলী সরদারকে স্বাধীনতাবিরোধী বলে উল্লেখ করেন।
আর সেই গ্রন্থের উদ্ধৃতি দিয়ে গত ২৫ জুলাই স্বেচ্ছাসেবক লীগের একটি সংবাদ সম্মেলন থেকে এমপি শফিকুল ইসলাম শিমুলকে রাজাকারের সন্তান বলে প্রচার করা হয়।
বাদীপক্ষের আইনজীবী আরিফুল ইসলাম জানান, ড. সুজিত সরকারের বইয়ের প্রথম সংস্করণের ৩১০ পাতার ২১ নং ক্রমিকে হাসান আলীর নাম ও তার পেশা ছোট ব্যবসায়ী এবং ঠিকানা পুরাতন কোর্টপাড়া লেখা ছিল। কিন্তু দ্বিতীয় সংস্করণের ৬০০ নং পাতার ২১ নং ক্রমিকে নামের স্থানে হাসান আলী সরদার, পেশা ছোট ব্যবসায়ী এবং পিতার নামের স্থানে নাসির উদ্দিন লেখা রয়েছে।
প্রথম সংস্করণে বাবার নাম উল্লেখ ছিল না। এই বইয়ের সূত্র ধরে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউল আযম স্বপন গত ২৫ জুলাই সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলকে রাজাকারের সন্তান বলে অভিহিত করেন।
এ বিষয়ে অধ্যাপক সুজিত কুমার সরকার জানান, তিনি সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের সুনাম ক্ষুণ্ন করেননি। তিনি আইনের প্রতি সর্বদা শ্রদ্ধাশীল। আদালতে তথ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করবেন।
নিজের বইয়ে রাজাকারের তালিকায় সাংসদ শিমুলের বাবার নাম তিনি স্থানীয়দের কাছ থেকে পেয়েছিলেন বলেও জানান অধ্যাপক সুজিত কুমার।
আর শফিউল আযম স্বপন বলেন, ‘ফেসবুক ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে মামলার বিষয়টি জেনেছি। এতে অধ্যাপক সুজিত সরকার ও আমাকে বিবাদী করা হয়েছে। বিষয়টি আমরা আইনগতভাবেই মোকাবিলা করব।’