বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হাসপাতালে চিকিৎসকের টেবিলে কুকুরের ঘুম, ছবি ভাইরাল

  •    
  • ১০ আগস্ট, ২০২১ ১৯:৩৩

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সুশান্ত বৈদ্য বলেন, ‘জরুরি বিভাগে কর্মরত ডাক্তারের টেবিলের ওপরে কুকুর উঠে ঘুমানোর ছবিটি আমি দেখেছি। দায়িত্বে অবহেলার কারণে ওই রাতে কর্মরত ফার্মাসিস্ট দিপক ও নৈশপ্রহরী হালিমকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে।’

গোপালগঞ্জে সুমন শেখ নামে এক যুবক অসুস্থ শাশুড়িকে নিয়ে গিয়েছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। জরুরি বিভাগে গিয়ে দেখেন চিকিৎসক, নার্স বা কর্তব্যরত কেউ নেই। আর চিকিৎসকের কক্ষে গিয়ে দেখেন, টেবিলের ওপর শুয়ে আছে একটি কুকুর।

সেই দৃশ্য মোবাইল ফোনে ধারণ করেন সুমন। সোমবার ছবিটি নিজের ফেসবুক আইডি থেকে পোস্ট করলে মুহূর্তেই ভাইরাল হয়।

ঘটনাটি গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের। গত রোববার রাত ১১টার দিকে হাসপাতালে যাওয়ার পর ওই দৃশ্য দেখেন সুমন। তার বাড়ি উপজেলার পিঞ্জুরী গ্রামে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ওই রাতে জরুরি বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন মেডিক্যাল কর্মকর্তা ডা. রাজিয়া সুলতানা লোপা, ফার্মাসিস্ট দিপক বিশ্বাস ও নৈশপ্রহরী হালিম শেখ। তবে ঘটনার সময় কেউ সেখানে না থাকায় কুকুরটি চিকিৎসকের টেবিলের ওপরে উঠে ঘুমিয়ে পড়ে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুশান্ত বৈদ্য জানান, ফার্মাসিস্ট দিপক বিশ্বাস ও নৈশপ্রহরী হালিম শেখকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। উপযুক্ত জবাব দিতে না পারলে দায়িত্বে অবহেলার কারণে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সুমন বলেন, ‘গত রোববার রাত ১১টার দিকে আমার অসুস্থ শাশুড়িকে নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসি। জরুরি বিভাগে গিয়ে দেখি কেউ নেই। ডাক্তারের টেবিলের ওপরে একটি কুকুর ঘুমিয়ে আছে। আমি তখন ওই দৃশ্য মোবাইল ফোনে ধারণ করি।

‘অনেক ডাকাডাকির পর ফার্মাসিস্ট দিপক বিশ্বাস ও নৈশপ্রহরী হালিম শেখ এসে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত ডাক্তারকে ডেকে আনেন। এরপর ডাক্তার রাজিয়া সুলতানা লোপা আমার শাশুড়ির চিকিৎসা করেন।’

ফার্মাসিস্ট দিপক বিশ্বাস বলেন, ‘আমি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ফার্মাসিস্ট। জনবল কম থাকার কারণে আমাকে জরুরি বিভাগে ডিউটি করতে হয়। ওই রাতে অল্প সময়ের জন্য আমি ও নৈশপ্রহরী হালিম জরুরি বিভাগের পাশে ১০২ নম্বর রুমে গিয়েছিলাম।

‘এর ফাঁকে ডাক্তারের টেবিলের ওপর একটি কুকুর উঠে ঘুমিয়ে পড়ে। আমি এসে কুকুরটি দেখতে পেয়ে তাড়িয়ে দিই।’

ডা. রাজিয়া বলেন, ‘জরুরি বিভাগ দেখার দায়িত্ব ফার্মাসিস্ট ও নৈশপ্রহরীর। আমরা রাতে জরুরি বিভাগের পাশে ডাক্তারদের যে রুম আছে সেখানে থাকি। রোগী এলে ফার্মাসিস্ট ও নৈশপ্রহরীরা আমাদের ডেকে নেয়। টেবিলের ওপরে কুকুর উঠে ঘুমানোর বিষয়টি আমি দেখিনি।’

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুশান্ত বৈদ্য বলেন, ‘জরুরি বিভাগে কর্মরত ডাক্তারের টেবিলের ওপরে কুকুর উঠে ঘুমানোর ছবিটি আমি দেখেছি। দায়িত্বে অবহেলার কারণে ওই রাতে কর্মরত ফার্মাসিস্ট দিপক ও নৈশপ্রহরী হালিমকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। তারা দুজন সন্তোষজনক জবাব না দিতে পারলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর