রূপসায় ভাঙচুর করা মন্দির, দোকান ও বাড়ি নিজ অর্থায়নে সংস্কার করার ঘোষণা দিয়েছেন খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মুর্শেদী।
সোমবার রূপসা উপজেলার শিয়ালী গ্রামে ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে দেখা করে এ কথা বলেন তিনি।
মুর্শেদী বলেন, ‘রূপসার শিয়ালিতে যারা ভাঙচুর করেছে, তাদের কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদেরও আইনের আওতায় আনা হবে এবং যেসব স্থানে ভাঙচুর করা হয়েছে, আমার নিজের অর্থায়নে মেরামতের ব্যবস্থা করে দেব।’
শনিবার সন্ধ্যায় শিয়ালী গ্রামে মন্দির ও বাড়িতে ভাঙচুর এবং লুটপাটের ওই ঘটনা ঘটে।
ঘাটভোগ ইউপির সদস্য দিবাংশু মালাকার জানান, গত শুক্রবার রাতে এশার নামাজের সময় কয়েকজন কীর্তন করে শিয়ালী মহাশ্মশানের দিকে যাচ্ছিলেন।
দায়পাড়া জামে মসজিদ পার হওয়ার সময় ইমাম ওই ব্যক্তিদের মসজিদের সামনে ঢাকঢোল বাজাতে নিষেধ করেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে।
এ ঘটনার জেরে শনিবার সন্ধ্যায় ওই গ্রামের কয়েকটি মন্দির ও বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়।
খুলনার এ এমপি জানান, ঘটনার সুষ্ঠু সমাধানে রূপসা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন বাদশাকে আহ্বায়ক করে ৩১ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে সব ধর্মের মর্মবাণী হচ্ছে মানবসেবার মাধ্যমে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি স্থাপন করা, মানুষের মঙ্গল করা। ধর্মের এই মর্মবাণী সবাই ধারণ করতে পারলেই পৃথিবীতে কোনো হানাহানি, মারামারি ও অশান্তি থাকবে না।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলার পুলিশ সুপার মাহাবুব হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) সাদিকুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবাইয়া তাছনিম, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন বাদশা, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার শেখ আরিফুর রহমান, শিক্ষক ধীমান মালাকার, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফ ম আব্দুস সালাম, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি আশরাফুজ্জামান বাবুলসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা।