বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রাস্তা আটকে ইউপি চেয়ারম্যানের ভবন নির্মাণ

  •    
  • ৯ আগস্ট, ২০২১ ২৩:০৮

মুনসুর জোমাদ্দার বলেন, ‘নির্মাণসামগ্রী রাইখা পুরা রাস্তা আটকাইয়া বাড়ির ঢালাইয়ের কাম করতেছে চেয়ারম্যান। একজন জনপ্রতিনিধি যদি বিবেক বিবেচনা করে কাজ না করেন আমাদের আসলে বলার কিছু নেই।’

বরগুনার তালতলীতে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে রাস্তায় নির্মাণসামগ্রী রেখে ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে।

তালতলী উপজেলা সদরের তালতলী সরকারি বিদ্যালয় সড়কের দক্ষিণ পাশে নির্মাণসামগ্রী রেখে সোমবার সকালে ভবনের কাজ শুরু করেন বড়বগী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আলমগীর মুন্সি।

ওই রাস্তায় কৃষি ও অগ্রণী ব্যাংকের দুটি শাখা আছে। নির্মাণসামগ্রী রাখায় রাস্তায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

স্থানীয়রা জানান, তিনি রাস্তার পাশে তার আগের বাড়ি ভেঙে নতুন ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেছেন। এ কাজের জন্য রোববার রাতে রাস্তায় ইট-বালু-খোয়া রাখেন। সোমবার সকালে রাস্তার উপর মিক্সিং মেশিন বসিয়ে কাজ শুরু করেন।

এতে এই পথ ব্যবহারকারীরা বিপাকে পড়েছেন। রিকশাও চলছে না।

রিকশাচালক আল-আমিন মিয়া মঙ্গলবার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মুই খ্যাপ লইয়া ওইহানে যাইয়া দেহি রাস্তা বন্ধ হইরা কাম করতেছে হেরা। কী কমু চেয়ারম্যান মানুষ, হের বিরুদ্ধে কিছু কওনও যায় না। দিন দুহারে (দুপুরে) রাস্তাডা আটকাইয়া কাম করতেছে কোন বিবেকে বুজি না। হের ওই কামের লাইগা রাস্তা আটকাইয়া মোগো রিকশা চালাইন্না বন্দ।’

রেন্ট-এ-মোটরসাইকেলের চালক মনির মিয়া বলেন, ‘খ্যাপ লইয়া যাওনের সোমায় দেহি রাস্তা আটকা। পরে উল্টা ঘুইরা আর এক রাস্তা দিয়া আইছি। এইরহম এক্কারে পুরা রাস্তা আটকাইয়া কাম করন ঠিক না।’

ওই সড়কের পাশেই থাকেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুনসুর জোমাদ্দার ও উপজেলা চেয়ারম্যান রেজবী উল কবির জোমাদ্দার।

মুনসুর জোমাদ্দার বলেন, ‘নির্মাণসামগ্রী রাইখা পুরা রাস্তা আটকাইয়া বাড়ির ঢালাইয়ের কাম করতেছে চেয়ারম্যান। একজন জনপ্রতিনিধি যদি বিবেক বিবেচনা করে কাজ না করেন আমাদের আসলে বলার কিছু নেই।’

উপজেলা চেয়ারম্যান রেজবী উল কবীর জোমাদ্দার জানান, আলমগীর মুন্সির বাড়ির সামনে নির্মাণসামগ্রী রাখার জায়গা নেই। তাই বলে পুরো রাস্তা আটকে রাখা ঠিক হয়নি।

এ বিষয়ে আলমগীর মুন্সি বলেন, ‘অল্প সময়ের জন্য সড়কের উপর এগুলো রেখেছি। জনসাধারণের চলাচলের অসুবিধা হওয়ায় আমি দুঃখিত। বাধ্য হয়েই এই কাজ করতে হয়েছে।

‘আজকেই কাজ শেষ হয়ে যাবে। আর কারো অসুবিধা হবে না।’

এ বিভাগের আরো খবর