৭৬ লট পণ্য নিলামে তুলছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। আগামী ১২ আগস্ট এই নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে গত ২৯ জুলাই নিলামে উঠেছিল ৬১ লট পণ্য।
এবারের নিলামে ১০ হাজার ৪৫০ কেজি লবঙ্গ, ১১ হাজার ৩৩৮ জোড়া জুতা, ২৬ হাজার ৬২৪ কেজি কমলা, ২ হাজার ৭২৬ কেজি মাল্টা ও ১৫ হাজার ৫০০ কেজি ড্রাগন ফল রয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি রয়েছে ১৭ লট ফেব্রিকস পণ্য।
এ ছাড়া রয়েছে গার্মেন্টসের কাঁচামাল, গার্মেন্টস সিকিউরিটি ট্যাগ, ফিনিশিং এজেন্ট, হাইড্রলিক অ্যাসিড, ব্যাটারি, ওয়াশিং কেমিক্যাল, ডায়েসিড (অ্যাসিড পণ্য), প্লাস্টিক হ্যাঙ্গার, টেক্সটাইল পণ্য, সালফিউরিক অ্যাসিড, ম্যাগাজিন, রিবন ম্যাশ কোর্ট, প্লাস্টিক বোতল, টেক্সটাইল কেমিক্যাল, সোডিয়াম সালফেট এনহাইড্রাস, ইলেকট্রিক এয়ার পাম্প, সোডা অ্যাশ লাইট, ফুটওয়্যার, ব্র্যান্ড ফেজার লিফট, প্রিন্টিং পেপার, থান কাপড়, রঙের গুঁড়া, রোবোটেক গ্রাপল, কিচেন র্যাক, পুস্তক, জিংক অক্সাইড, মেটাল ফ্রেম, এলইডি ল্যাম্প, এনগুলার উইন্ডো সেন্টার মেশিন, চুন, গ্লিসারিন, আঠা, ট্রান্সফরমার ওয়েল, ক্রাফট লিনার পেপার, টাইলস, ডেন্টাল এক্সেসরিজ, হ্যান্ড গ্লোব, যন্ত্রপাতি, কাঠসহ বিভিন্ন পণ্য।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের তথ্যমতে, এবারের নিলামে ১৭ লটে ৩৪৫ রোল ফেব্রিকস পণ্য, ২ কনটেইনার প্লাস্টিক নাইফ বোর্ড, ১৪ কনটেইনার প্লাস্টিক শিট, ১৯৮ বক্স এক্সেসরিজ পণ্য, ১৯ কনটেইনার সিকিউরিটি ট্যাগ, ১৯ কেজি ফিনিশিং এজেন্ট, ২৭০ কেজি হাউড্রলিক অ্যাসিড, ৩৭৮ কেজি ডায়েসিড (অ্যাসিড পণ্য), ২ কনটেইনার মেটাল ফ্রেম, ১ কনটেইনার ব্যাটারি লিড, ৭ কেস ওয়াশিং কেমিক্যাল, ১৬২ কেজি প্লাস্টিক বোতল, ৫০৮ কনটেইনার প্লাস্টিক হ্যাঙ্গার, ১৮৯ কেজি টেক্সটাইল পণ্য, ১৫২ কেজি সালফিউরিক অ্যাসিড, ৩৪৮ বিএমডব্লিউ ম্যাগাজিন, ১১৬ কেজি রিবন ম্যাশ কোর্ট, ২ হাজার ১০ কেজি টেক্সটাইল কেমিক্যাল, ১ লাখ ৮৫ হাজার কেজি এমপিইটি ফিল্ম, ৩ হাজার ৩০০ ব্যাগ সোডিয়াম সালফেট, ৫১ কনটেইনার ইলেকট্রিক এয়ার পাম্প, ১ হাজার ১০০ ব্যাগ সোডা, ১১ হাজার ৩৩৮ জোড়া জুতা, ৩৮ রোল প্রিন্টিং পেপার, ৫০ কেজি ওজনের থান কাপড়, ৬২৫ ব্যাগ রঙের গুঁড়া, ৬০ হাজার ৬৭ কেজি লোহার পাইপ, ১ হাজার ১৯৩ প্যাকেজ কিচেন র্যাক, ১৫০ কেজি পুস্তক, ২০ ব্যাগ জিংক অক্সাইড, ৪৩ হাপজার ৯৫০ পিস এলইডি ল্যাম্প, ২০ হাজার কেজি এনগুলার উইন্ডো সেন্টার মেশিন, ২ হাজার ৪৯৩ ব্যাগ চুন, ৯৬ ড্রাম গ্লিসারিন, ১৭ হাজার ৭৩০ কেজি আঠা (গাম), ১৩৮ ড্রাম ট্রান্সফরমার অয়েল, ২৫ রোল ক্রাফট লিনার পেপার, ২ হাজার ৫৩০ কনটেইনার ডোর ওয়াল টাইলস, ৩২১ কেজি ডেন্টাল এক্সেসরিজ, ২৮ কনটেইনার হ্যান্ড গ্লোব, ২৮ হাজার কেজি ওজনের ১২ পিস কাঠের টুকরা, ২৪ হাজার কেজি ওজনের টেক্সটাইল মেশিনারিজ পণ্য নিলামে উঠছে।
সরকারি নিলাম পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স কে এম করপোরেশন বরাবরের মতো এই নিলাম পরিচালনা করছে।
প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার মোহাম্মদ মোরশেদ বলেন, রোববার থেকে নিলামের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। নিলামে অংশ নিতে হলে ৮ আগস্ট থেকে আগামী ১১ আগস্ট পর্যন্ত অফিস চলাকালীন ২০০ টাকা দরে ক্যাটালগ ও ১০০ টাকা দরে দরপত্র সংগ্রহ করা যাবে।
আগামী ১১ ও ১২ আগস্ট সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টার মধ্যে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তা (প্রশাসন) ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে টেন্ডার বক্সে দরপত্র জমা দিতে হবে। পাশাপাশি আগামী ৯ ও ১০ আগস্ট সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত বিক্রয়যোগ্য পণ্য পরিদর্শন করতে পারবেন বিডাররা।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের উপকমিশনার (নিলাম শাখা) মো. আল আমিন বলেন, ‘বন্দরের জট কমাতে নিলামের গতি বাড়ানো হয়েছে। প্রতি মাসে দুই থেকে তিনটি নিলাম ডাকার চেষ্টা করা হয়। আগামী ১২ আগস্ট বেলা আড়াইটায় ৭৬ লট পণ্য নিলামে তোলা হবে।’
বিদেশ থেকে আনা অনেক পণ্য খালাস করেন না আমদানিকারকরা। পাশাপাশি শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনতে গিয়ে কায়িক পরীক্ষায় আটক করা হয় অনেক পণ্য। নিয়মানুযায়ী ৩০ দিনের মধ্যে এসব পণ্য খালাসের নির্দেশ দিয়ে নোটিশ দেয়া হয়। নোটিশ দেয়ার ১৫ দিনের মধ্যে পণ্য খালাস না করলে এসব পণ্য নিলামে তোলে কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষ।