ফরিদপুর সদরের নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের জলিল মোল্লার ডাঙ্গী গ্রামের ফালুর খালে আস্তানা গাড়া কুমিরটি ধরা পড়েছে।
সোমবার দুপুরে জলাধারের পাড়ে একটি হাঁস খেতে উঠলে এলাকাবাসী কুমিরটিকে জালে আটক করে।
স্থানীয়রা জানান, কুমিরটির দৈর্ঘ্য সাত ফুট ও চওড়া দেড় ফুট।
২৪ জুলাই ফালুর খাল হিসেবে পরিচিত ওই জলাধারে একটি কুমির দেখতে পান এলাকাবাসী। এরপর ২৮ ও ৩১ জুলাই এটি ধরতে অভিযান চালান প্রাণী সম্প্রসারণ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের কর্মকর্তারা। দুই দফা অভিযান চালিয়েও কুমিরটি আটক করা সম্ভব হয়নি।
এরপর এলাকায় মাইকিং করে জনসাধারণকে ওই জলাশয়ে না নামার পরামর্শ দেয়া হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা আসলাম হোসেন জানান, ২৪ জুলাই ডাঙ্গী গ্রামের জেলে হজরত মিয়া পদ্মা নদী থেকে চার কেজি ওজনের একটি বোয়াল মাছ ধরেন। তাজা রাখার জন্য মুখে দড়ি বেঁধে মাছটি জলাশয়ে ডুবিয়ে রাখেন। কিছুক্ষণ পর তিনি মাছটি তুলতে দড়ি টান দিলে জলাধারে একটি কুমির দেখতে পান।
স্থানীয় আরেক বাসিন্দা শরিফ হোসেন বলেন, ‘পদ্মা নদী থেকে একটি সরু চ্যানেল ওই জলাধারের কাছে গেছে। নদীতে পানি কমে যাওয়ায় চ্যানেলের পানি শুকিয়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, কুমিরটি মাছ তাড়া করতে করতে এ জলাধারে এসে আটকা পড়েছে।’
নর্থ চ্যানেল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোস্তাকুজ্জামান বলেন, ‘কুমিরটি ধরার জন্য এর আগে দুটি অভিযান ব্যর্থ হয়। এতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অবশেষে দুপুরে এটি ধরা পড়ে।
তিনি জানান, সন্ধ্যায় কুমিরটিকে নিতে খুলনা থেকে আসে বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের একটি দল।
মৎস্য বিশেষজ্ঞ মফিজুর রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে ১০ সদস্যের ওই দলটি রাত সাড়ে ৯টার দিকে কুমিরটি নিয়ে খুলনার উদ্যেশে রওনা হয়।