যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সদ্য ঘোষিত কমিটিতে সংশোধনের দাবি তুলেছেন স্থানীয় নেতাদের একাংশ।
জেলা প্রেসক্লাবে সোমবার দুপুরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করা হয়।
লিখিত বক্তব্যে জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ মেহেদি হাসান বলেন, ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে শহিদুল ইসলাম মিলনকে সভাপতি ও শাহীন চাকলাদারকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। দীর্ঘ ২০ মাস পর ৩০ জুলাই পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেয় কেন্দ্রীয় কমিটি। কিন্তু যোগ্য ও ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে নতুন কমিটি গঠন হয়েছে।
এ ছাড়া বিভিন্ন ধরণের সুবিধা নিয়ে ও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে কমিটিতে ১২ জনকে স্থান দেয়া হয়েছে। এমনকি মৃত এক ব্যক্তির নামও কমিটিতে রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, কমিটিতে স্থান পাওয়া ১২ জনের কয়েকজন জামাত পরিবারের সদস্য, অন্যরা স্থানীয় রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন। কমিটিতে সভাপতির সন্তান ও আত্মীয়সহ কেন্দ্রীয় নেতার পিয়ন জায়গা পেয়েছেন। নির্বাচনে পরাজিত দুই নেতাকেও জেলা কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদে রাখা হয়েছে।
জেলার ত্যাগী নেতাদের জায়গা করে দিতে নতুন কমিটি সংশোধনে দলীয় সভানেত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক কামাল হোসেনসহ সাবেক ছাত্রলীগের ২০ নেতা উপস্থিত ছিলেন।
কমিটির বিষয়ে সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, 'কমিটিতে পুরনো কেউ কেউ বাদ পড়েছেন। নেতৃত্বে নতুন মুখ আসবে, এটাই স্বাভাবিক। সব মিলে নতুন কমিটি ভালো হয়েছে।'