বগুড়া সদরে ছয় বছর আগে ‘খুন হওয়া’ মো. শামীম নামের এক যুবককে হঠাৎ দেখা গেছে এলাকায়। সাইকেল চালিয়ে ঘোরাফেরা করছিলেন তিনি। অথচ তাকে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত আসামি জেল খেটেছেন সাড়ে চার মাস। এখন আদালতে নিয়মিত হাজিরা দেন তিনি।
এ ঘটনা ঘটেছে সোমবার সকালে সদর উপজেলার মানিকচক এলাকায়। সেখানে সকালে শামীমকে সাইকেল চালাতে দেখে পুলিশে খবর দেন এলাকার লোকজন। সদর থানার পুলিশ গিয়ে শামীমকে হেফাজতে নেয়।
শামীমের বাড়ি সদর উপজেলার শাখারিয়া এলাকায়। তাকে হত্যায় অভিযুক্ত যে ব্যক্তি, তার নাম আজিজার রহমান।
সদর উপজেলার মানিকচকের বাসিন্দা আজিজার শহরের বড়গোলা এলাকার একটি মুদির দোকানের কর্মচারী।
শামীমকে পাওয়া যাওয়ার খবরে ঘটনাস্থলে গেলে দেখা হয় আজিজারের সঙ্গে। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘শামীমের কাছ থেকে এক লাখ টাকা পাওনা ছিল আমার। সাত বছর আগে শামীমকে টাকার জন্য চাপ দিই। ওই সময়ই শামীম গ্রাম থেকে উধাও হয়ে যায়। পরে আমার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন শামীমের মা ঝর্ণা বেগম।
‘হত্যা মামলাাটি আদালতে বিচারাধীন। আমি এ মামলায় সাড়ে চার মাস জেল খেটেছি। এখনও নিয়মিত আদালতে হাজিরা দিচ্ছি।’
শামীম হত্যা মামলার আসামি আজিজার
আজিজার বলেন, ‘সোমবার সকালে খবর পাই যে, মানিকচক এলাকায় শামীমকে বাইসাইকেল চালিয়ে ঘুরতে দেখা গেছে। আমার ছোট ভাই গিয়ে তাকে আটক করে। পরবর্তীতে পুলিশ এসে তাকে (শামীম) থানায় নিয়ে যায়।’
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা বলেন, ‘শামীম বর্তমানে থানা হেফাজতে রয়েছেন। তিনি প্রায় পাঁচ বছর আগে আদালতে হাজির হয়েছিলেন বলেও আমাদের জানিয়েছেন। হত্যা মামলাটি আদালতে বিচারাধীন।’
ওসি জানান, পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।