চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টিতে প্লাবিত হয়েছে ছয়টি ইউনিয়নের বেশ কিছু এলাকা।
রোববার রাত থেকে টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে সোমবার ভোর থেকে ওইসব ইউনিয়নের বেশ কিছু এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে লক্ষাধিক মানুষ।
সাধারণ মানুষের চলাচলে ভোগান্তি ছাড়াও নিম্ন আয়ের মানুষের বেশ কিছু কাঁচা ঘর পানিতে তলিয়ে গেছে বলে জানান বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইদুজ্জামান চৌধুরী।
উপজেলার খানখানাবাদ ইউনিয়নের বাসিন্দা রিয়াদুল ইসলাম রিয়াদ নিউজবাংলাকে জানান, মধ্যরাত থেকে এসব পানি বাড়তে থাকে। গ্রামের অনেকের জমির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে, বাড়িঘরও ধ্বংস হয়ে গেছে।
ইউএনও সাইদুজ্জামান জানান, উপজেলার পূর্বদিকের ইউনিয়নগুলো উঁচু ও পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় ওইসব এলাকার বৃষ্টির পানি পশ্চিম দিকের ইউনিয়নগুলোতে চলে যাচ্ছে। বৃষ্টির পানিতে পশ্চিম দিকের অন্তত ছয়টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বৈলছড়ি ইউনিয়ন।
এ ছাড়া পুঁইছড়ি, গন্ডামারা, সাধনপুর ও শেখেরখীল ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামও প্লাবিত হয়েছে। এতে কৃষকের বেশ কিছু ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। পাশাপাশি কিছু কাঁচা ঘরও পানিতে তলিয়ে গেছে।
বৈলছড়ি ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের ১,২,৩ ও ৪ নম্বর ওয়ার্ড সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব এলাকার ফসল ও বেশ কিছু ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেকে গতকাল রাত থেকে রান্না করতে পারছে না।
‘আমরা প্রাথমিকভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের খাবার দিয়েছি। তবে দুপুরের দিকে পানি কমতে শুরু করেছে। আমরা পরিস্থিতি সম্পর্কে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি।’
ইউএনও সাইদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা প্রাথমিক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার জন্য ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের নির্দেশনা দিয়েছি। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর খোঁজখবর রাখা হচ্ছে।’