বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আ. লীগ নেতার ওপর হামলা: দলীয় ৩৩ জন কারাগারে

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ৯ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০

বাদী পক্ষের আইনজীবী রাসেল মাহমুদ মান্না জানান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিয়া মো. গোলাম ফারুক পিংকুর ওপর হামলা ও তার গাড়ি ভাঙচুরের মামলার প্রধান দুই আসামি পলাতক রয়েছেন। রোববার আত্মসমর্পণ করা সব আসামি কমলনগর ও সদর উপজেলার বাসিন্দা।

লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিয়া মো. গোলাম ফারুক পিংকুর ওপর হামলা ও তার গাড়ি ভাঙচুরের মামলায় দলীয় ৩৩ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

রোববার দুপুরে লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ ও কমলনগর আমলী আদালতের বিচারক জুয়েল দেব এ আদেশ দেন।

দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর আসামিরা আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক জামিনের আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

বাদী পক্ষের আইনজীবী রাসেল মাহমুদ মান্না এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মামলার প্রধান দুই আসামি পলাতক রয়েছেন।

পলাতক প্রধান দুই আসামি হলেন আওয়ামী লীগ নেতা ফয়সাল আহমেদ রতন এবং কমলনগর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মেজবাহ উদ্দিন বাপ্পী।

মামলায় বলা হয়, ২১ জুন দুপুরে ইউপি নির্বাচন চলাকালে লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মিয়া মো. গোলাম ফারুক পিংকু সাংগঠনিক কাজে রামগতির আলেকজান্ডারের দিকে গাড়িবহর নিয়ে যাচ্ছিলেন। কমলনগরের তোরাবগঞ্জ বাজারে পৌঁছলে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ফয়সাল আহমেদ রতন ও কমলনগর উপজেলা চেয়ারম্যান মেজবাহ উদ্দিন বাপ্পীর নেতৃত্বে আসামিরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।

এ সময় আওয়ামী লীগ নেতা পিংকু গাড়ি থেকে নামতেই হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। হামলায় পিংকুসহ আওয়ামী লীগের অন্তত ১০ নেতাকর্মী আহত হন।

হামলাকারীরা পিংকুর ব্যক্তিগত গাড়ি ভাঙচুর করে প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি করে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

২৩ জুন ফয়সাল আহমেদ রতন ও মেজবাহ উদ্দিন বাপ্পিসহ ৫৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় ১৮০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন পিংকুর গাড়ি চালক নিজাম উদ্দিন।

ওই দিনই তোরাবগঞ্জ ইউপি সদস্য ইসমাইল হোসেন, মো. শরিফ, আবদুল মতিন ও মো. সবুজ নামের চার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদেরকে আদালতে নিলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

রোববার আত্মসমর্পণ করা আসামিরা সবাই কমলনগর ও সদর উপজেলার বাসিন্দা।

আসামি পক্ষের আইনজীবী শামছুল আলম অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, মামলায় আত্মসমর্পণকারীরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। তাদের জামিনের জন্য উচ্চ আদালতে আবেদন করা হবে।

এ বিভাগের আরো খবর