বাবা-মায়ের আদরের ছোট মেয়ে রেনুকা। ছোটবেলা থেকেই ছিলেন বেশ মেধাবী।
আট বছর আগে ১৪ বছর বয়সে হঠাৎ করেই মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন তিনি। দিনমজুর বাবা রুস্তম আলী অর্থাভাবে করাতে পারেননি মেয়ের চিকিৎসা।
রেনুকার বাড়ি সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার নুর নগর গ্রামে। সেই ২০১৩ সাল থেকেই পরিবারের লোকজন তার পায়ে শিকল বেঁধে রেখেছে।
রুস্তম আলী জানান, গ্রামের লোকজনের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা নিয়ে বড় তিন মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। আর্থিক সংকটের কারণে কিছুদিন পল্লি চিকিৎসকের কাছে রেনুকার চিকিৎসা করালেও ভালো কোনো ডাক্তারের কাছে তাকে নিয়ে যেতে পারেননি।
তিনি জানান, মেয়েটির জন্য আট বছরেও কোনো জনপ্রতিনিধি বা সরকারি কর্মকর্তার কাছ থেকে সহায়তা পাননি। এখনও উন্নত চিকিৎসা করাতে পারলে হয়তো রেনুকা সুস্থ হতো।
রেনুকার বিষয়ে কামারখন্দ উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সবুজ আলী বলেন, ‘অফিসে নিয়ে এলে মেয়েটিকে দেখে কোনো একটা ক্যাটাগরিতে ভাতার ব্যবস্থা করে দেয়া যাবে।’