করোনাভাইরাসে ছেলের মৃত্যুর ১৩ দিন পর শনিবার মারা যায় মা। তাদের সেবা করতে গিয়ে আক্রান্ত দুই মেয়ে।
ছেলের কবর দেয়া হলেও, কয়েকদিনের ব্যবধানে মায়ের মৃত্যু হওয়ায় ঘাবড়ে যায় এলাকাবাসী। ঢাকা থেকে মরদেহ গেলেও কেউ এগিয়ে আসেনি কবর দিতে।
পরে ধর্মীয় সংগঠন গাউছিয়া কমিটি বাংলাদেশের কুমিল্লা শাখার সদস্যরা ওই নারীকে তার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করে।
ঘটনাটি ঘটেছে কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার আড্ডা ইউনিয়নের বাগমারা গ্রামে।
করোনায় মৃত ওই নারীর নাম আমেনা বেগম। তার ছেলের নাম মো. সাহাবুউদ্দিন।
আড্ডা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাফর উল্লাহ চৌধুরী জানান, আমেনা বেগমের দুই ছেলে ও দুই মেয়ে। তার বড় ছেলে প্রবাসী। ছোট ছেলে সাহাবুদ্দিন করোনা আক্রান্ত হয়ে ২৬ জুলাই কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যায়।
আমেনা বেগম রোববার চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজধানীর মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।
তিনি আরও জানান, আমেনার মেয়ে ফরিদা আক্তার ও রাশেদা আক্তারও করোনায় আক্রান্ত। রাশেদা স্থানীয় ডা. জুবায়ের ক্লিনিকে ভর্তি। ফরিদা তার শ্বশুরবারিতে আইসোলেশনে।
গাউছিয়া কমিটির কুমিল্লা শাখার প্রধান আবদুল হান্নান বলেন, ‘স্থানীয় এক ব্যক্তি ফোন করে জানান আমেনা বেগমের মরদেহ দাফনে কেউ এগিয়ে আসছে না। তাৎক্ষণিকভাবে আমাদের টিমের ছয় সদস্যকে তার বাড়িতে পাঠায়। দাফনের প্রক্রিয়া মানুষ দূর থেকে দেখলেও কেউ এগিয়ে আসেনি।’
আবদুল হান্নান আরও বলেন, ‘জানাযা শেষে কর্দমাক্ত রাস্তা হয়ে অনেক দূর হেটে আমেনার পারিবারিক কবরস্থানে মরদেহ দাফন করা হয়। তার কবরে কেউ মাটি দিতেও এগিয়ে আসেনি।’