খুলনার রূপসায় মন্দির, দোকান ও বাড়ি ভাঙচুর এবং লুটপাটের ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
উপজেলার শিয়ালী গ্রামে রোববার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ ও র্যাব।
ঘাটভোগ ইউপির সদস্য দিবাংশু মালাকার জানান, গত শুক্রবার রাতে এশার নামাজের সময়ে কয়েকজন কীর্তন করে শিয়ালী মহাশ্মশানের দিকে যাচ্ছিলেন।
দায়পাড়া জামে মসজিদ পার হওয়ার সময় ইমাম ওই ব্যক্তিদের মসজিদের সামনে ঢাকঢোল বাজাতে নিষেধ করেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে।
এ ঘটনার জেরে শনিবার সন্ধ্যায় ওই গ্রামের কয়েকটি মন্দির ও বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়।
রাত আড়াইটার দিকে রূপসা থানা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শক্তিপদ বসু এ ঘটনায় মামলা করেন। মামলায় ২৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও দেড় শ জনকে আসামি করা হয়।
শক্তিপদ বসু বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে থানায় বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। বৈঠকের আগেই চানপুর, বামনডাঙ্গা ও নড়ানিয়া গ্রামের কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে শিয়ালী গ্রামের কিছু লোক শনিবার বিকেলে হামলা চালায়। এ সময় গ্রামের পাঁচটি মন্দিরের প্রতিমা, তিনটি বাড়ি ও সাতটি দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়।’
ঘাটভোগ ইউপির চেয়ারম্যান সাধান অধিকারী জানান, এ ঘটনার পর থেকে গ্রামে র্যাব, পুলিশ ও ডিবি মোতায়েন রয়েছে।
রূপসা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সিরাজুল ইসলাম জানান, বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে।