নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে সন্তানকে হত্যার অভিযোগে সৎমাকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
জেলার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে বেলা তিনটার দিকে অভিযুক্তকে তোলা হলে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
অভিযুক্ত মায়ের নাম নূপুর আক্তার। ২২ বছরের নূপুর উপজেলার আমিশাপাড়া ইউনিয়নের পদিপাড়া গ্রামের ওমর ফারুকের দ্বিতীয় স্ত্রী।
আর মৃত শিশুর নাম আব্দুল্লাহ আল নাফিজ। ৮ বছরের নাফিজ একটি এতিমখানায় থেকে পড়াশোনা করত।
ওমর ফারুকের সাবেক স্ত্রী নূর নাহারের অভিযোগ, ছুটিতে বাড়ি এলেই তার সৎমা নাফিজকে মারধর করতেন। শনিবার রাত ৯টার দিকে নাফিজকে বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করেন নূপুর। পরে কাঁথা দিয়ে মরদেহ ঢেকে রাখেন তিনি।
রাতে ওমর ফারুক বাড়ি এসে নাফিজকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। তখন নূপুরকে পাশের বাড়ি থেকে ডেকে আনেন। একপর্যায়ে খাটের ওপর কাঁথা মোড়ানো অবস্থায় নাফিজের মরদেহ দেখতে পান ফারুক। খবর পেয়ে সোনাইমুড়ী থানার পুলিশ মরদেহ উদ্ধার ও সৎমা নূপুরকে আটক করে।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, হত্যার অভিযোগে নাফিজের বাবা নিহতের সৎমাকে আসামি করে মামলা করেন। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠান। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন হাতে পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।