কঠোর বিধিনিষেধের শেষ দিকে এসে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ঢাকামুখী যাত্রীর ভিড় বেড়েছে। একই সঙ্গে নৌরুটে বেড়েছে ব্যক্তিগত গাড়ি ও দক্ষিণবঙ্গগামী যাত্রীর সংখ্যাও।
নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে শনিবার সকাল থেকে নৌরুটের ফেরিতে পারাপার হচ্ছেন যাত্রী।
সরেজমিনে দেখা যায়, নিয়ম অনুযায়ী শুধু জরুরি ও বিধিনিষেধের আওতার বাইরে থাকা যানবাহন পারাপারের নির্দেশনা থাকলেও ফেরিতে পার হচ্ছে ব্যক্তিগত গাড়ি। সকাল থেকে প্রতিটি ফেরিতেই জরুরি, পণ্যবাহী গাড়ির সঙ্গে ব্যক্তিগত গাড়ি পার হতে দেখা যাচ্ছে।
যাত্রীরা জানান, মূলত ৫ আগস্ট বিধিনিষেধ শেষ হলে রাজধানীতে কর্মস্থলে ফেরার অপেক্ষায় ছিলেন দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অনেকে। তবে বিধিনিষেধের সময়সীমা বাড়লেও পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে তারা ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন।
অনেকে আবার চিকিৎসা, টিকাদানসহ নানা প্রয়োজনে ঢাকার গন্তব্যে যাচ্ছেন।
এদিকে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় শিমুলিয়া ঘাটে পৌঁছে জরুরি প্রয়োজন ও কর্মস্থলে ফেরা মানুষকে গন্তব্যে যেতে পড়তে হচ্ছে বিপাকে। স্বল্পগতির যানবাহনে করে ভেঙে ভেঙে তারা পাড়ি দিচ্ছেন গন্তব্যে। এতে ভোগান্তির পাশাপাশি গুনতে হচ্ছে দুই-তিন গুণ বেশি ভাড়া।
ঘাট এলাকায় যাত্রীর অপেক্ষায় রয়েছে পিকআপভ্যান, কাভার্ডভ্যান, অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল। তবে সব যানবাহনের চালক অতিরিক্ত ভাড়া চাওয়ায় বিপদে আছেন যাত্রীরা।
এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক মাহবুবুর রহমান জানান, নৌরুটে বর্তমানে রো রো, মিডিয়াম ও ছোট মিলিয়ে ১০টি ফেরি সচল রয়েছে। সকাল থেকে বাংলাবাজার ঘাট থেকে ঢাকামুখী যাত্রীরা আসছেন। আবার দক্ষিণবঙ্গগামী কিছু যাত্রীও পার হচ্ছেন। ঘাট এলাকায় শতাধিক ব্যক্তিগত গাড়ি ও দুই শতাধিক ট্রাক রয়েছে পারের অপেক্ষায়।
বিধিনিষেধ শেষ হওয়ার আগেই কেন এত ভিড় এমন প্রশ্নের জবাবে বিআইডব্লিউটিসির ব্যবস্থাপক (মেরিন) আহমেদ আলী বলেন, ‘যাত্রীরা ওপার থেকে বেশি আসছেন। আমাদের এদিক থেকে কিছু করার নেই। আর এখন এই শেষ সময়ে কিছু মানবিক দিক বিবেচনাও করা হচ্ছে।’