যশোরের মনিরামপুরে বাড়ির রান্নাঘর থেকে কলেজ শিক্ষকের স্ত্রী ও শিশুসন্তানের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
উপজেলার কুলটিয়া গ্রামের বাড়ির রান্নাঘরে শনিবার বিকেল ৫টার দিকে পাওয়া যায় মরদেহদুটি।
মৃত গৃহবধূর নাম পিয়া মণ্ডল। ২২ বছরের পিয়ার সঙ্গে ঝুলছিল তার তিন বছরের মেয়ে কথার মরদেহ।
এ ঘটনায় পিয়ার স্বামী কণার মণ্ডলকে আটক করেছে পুলিশ। তিনি মশিয়াহাটি কলেজের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, চার বছর আগে অভয়নগর থানার দত্তগাতী গ্রামের ভগিরথ মণ্ডলের মেয়ে পিয়ার সঙ্গে কণারের বিয়ে হয়। এর পর থেকে কণার মণ্ডলের বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে তাদের মধ্যে কলহ চলতে থাকে। এরই মধ্যে জন্ম হয় তাদের মেয়ে কথার।
পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, কলহের জেরে দুই মাস আগে কথাকে নিয়ে বাবার বাড়ি চলে যান পিয়া। পরে তাকে আবার বাড়ি ফিরিয়ে আনেন কণার।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শেখর চন্দ্র রায় জানান, পিয়া ও কণার কুলটিয়া গ্রামের ফাল্গুন মণ্ডলের বাড়িতে ভাড়া থাকত। বিকেলে ওই বাড়ির রান্নাঘর থেকে দড়িতে ঝুলন্ত অবস্থার মা-মেয়ের মরদেহ উদ্ধার হয়।
পিয়া মণ্ডলের মা শিপ্রা মণ্ডলের অভিযোগ, ‘কণারকে অনেকবার ভালো হয়ে যেতে বলেছি। আমার মেয়েও তাকে অনেক সুযোগ দিয়েছে। কিন্তু সে বদলায়নি।’
পিয়ার ভাই চন্দন মণ্ডল বলেন, ‘প্রতিবেশি এক নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন কণার। এ নিয়ে পিয়ার সঙ্গে প্রায়ই ঝগড়া হতো। শুধু এখানে নয়, বিভিন্ন জায়গায় কণার একাধিক সম্পর্ক রয়েছে।’মনিরামপুরে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে মেয়েকে দড়িতে ঝুলিয়ে মারার পর আরেক দড়িতে আত্মহত্যা করেছেন পিয়া। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর বিস্তারিত জানা যাবে।’