বরগুনার বেতাগীতে সাবেক ইউপি সদস্য আনারুল ইসলাম টিটু হাওলাদারকে হত্যা মামলার প্রধান আসামি রেজাউল ইসলাম টিটুকে তিন দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।
বেতাগী উপজেলার বিচারিক হাকিম রাসেল মজুমদার শনিবার দুপুরে টিটুর রিমান্ড আবেদন গ্রহণ করেন।
এর আগে শুক্রবার রাতে পটুয়াখালী থেকে টিটুকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি সরিষামুড়ি ইউপি চেয়ারম্যান ইমাম হাসান শিপন জোমাদ্দারের ছোট ভাই।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক আবিদুর রহমান নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, পুলিশ টিটুকে আদালতে তুলে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করে। বিচারক তাকে তিনদিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন।
টিটু হত্যার প্রত্যক্ষদর্শী বায়েজিদ হোসেন (টিটুর ভাইয়ের ছেলে) জানান, ১৯ জুলাই সকাল ১০টার দিকে টিটু বেতাগীতে ইউপি সদস্যের সম্মানি ভাতা আনতে যান। দুপুর ১২টার দিকে বেতাগী সদর থেকে বাইকে করে সরিষামুড়ি ফিরছিলেন।
সাড়ে ১২টার দিকে তিনি কাজিরাবাদ ইউনিয়নের কাউনিয়া পোলেরহাট ইটভাটা এলাকায় পৌঁছলে ১৫ থেকে ২০ জন পথরোধ করে মারধর শুরু করে। হামলা থেকে বাঁচতে তিনি সড়কের পাশে খালে লাফ দেন।
বরগুনার বেতাগীর সাবেক ইউপি সদস্য আনারুল ইসলাম টিটু হাওলাদার
খাল থেকে তুলে তার ঘাড়ের পেছনে অস্ত্র দিয়ে কোপ দেয়া হয় ও ইট দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করা হয়। এ সময় টিটুর সঙ্গে থাকা কয়েকজন তাকে বাঁচাতে চাইলে দুর্বৃত্তরা তাদের দেশীয় অস্ত্র দেখিয়ে ভয় দেখায়। পরে সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা একটি কালো মাইক্রোবাসে টিটুকে তুলে নিয়ে বরগুনার দিকে চলে যায়।
হামলাকারী কয়েকজনকে মোরটসাইকেলে ওই মাইক্রোর পেছন পেছন যেতে দেখা যায়। কালো মাইক্রোতে রেজাউল ইসলাম টিটু ছিলেন বলে অভিযোগ করেন বায়েজিদ।
ঘটনার চারদিন পর ২৩ জুলাই টিটুর স্ত্রী শিল্পী বেগম সরিষামুড়ি ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যানসহ ৩৮ জনের নামে ও ১০ থেকে ১৫ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করে বেতাগী থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলায় ইমাম হাসান শিপন জোমাদ্দারকে ২১ নম্বর আসামি করা হয়। শিপন বরগুনা জেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।