প্রতিপক্ষের হামলায় হাতের কবজি হারানো ছাত্রলীগ নেতা রাকিবুল ইসলাম চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১১দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে শনিবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
রাকিবুল ইসলাম পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মিঠাগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাকিবুলের ভাই ইমরান মাহমুদ।
তিনি জানান, ২৯ জুলাই রাতে কলাপাড়া উপজেলার তেগাছিয়া বাজার থেকে নিজ বাড়িতে যাওয়ার সময় রাকিবুলকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ডান হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন করে দেয় ছাত্রলীগের প্রতিপক্ষরা। এ সময় রাকিবুলকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে জখম করা হয়। এতে তার পেট ও কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ইমরান মাহমুদ আরও জানান, পূর্ব শত্রুতার জেরে মিঠাগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ও তার ভাই রায়হান এই হামলা চালিয়েছিলেন। হামলার পর স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক রাকিবুলকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে তিনদিন চিকিৎসার পর ৩১ জুলাই অবস্থার অবনতি হলে বরিশাল থেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনা হয় রাকিবুলকে।
এ ঘটনায় ২৯ জুলাই রাকিবুলের মা রাহিমা বেগম মিঠাগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মো. তরিকুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে কলাপাড়া থানায় একটি মামলা করেন। এতে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। অজ্ঞাত পরিচয় আরও ৭/৮ জনকেও আসামি করা হয়।
মামলার পরপর ওই দিন রাতে মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের তেগাছিয়া বাজার থেকে চার জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। যাদের গ্রেপ্তার করা হয় তারা এজাহারভুক্ত আসামি।
কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন , ইতোমধ্যে চার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এর আগে ২৯ জুলাই দুপুরে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ওই ইউনিয়নের ছাত্রলীগ সভাপতি তরিকুল ইসলামকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়।