দেশের দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার হিসাবে পরিচিত মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ফেরিঘাট।
মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে সাধারণত ১৭টি ফেরি পারাপার করলেও ঈদের আগ থেকে ১০টি ফেরি দিয়ে যানবাহন ও যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে।
শিমুলিয়া বাংলাবাজার নৌরুটে ৬টি ডাম্প ফেরি (টানা ফেরি) ঈদের আগ থেকে বন্ধ রয়েছে। বিআইডাব্লিউটিসি সূত্রে জানা যায়, বন্ধ থাকা ফেরিগুলো হলো ফেরি টাপেলো, রানীগঞ্জ, রানীক্ষেত, যমুনা, রায়পুরা ও ল্যান্টন। শাহজালাল নামে আরেকটি ফেরি সম্প্রতি পদ্মা সেতুর পিলারের সঙ্গে ধাক্কা খাওয়ার পর থেকে তার চলাচল বন্ধ রয়েছে।
টানা ফেরিগুলো প্রায় ৩০ থেকে ৪০ বছরের পুরনো। টাগবোট দিয়ে ফেরিগুলো টানা হয় বলে এগুলো টানা ফেরি নামে পরিচিত। আগে এ সব ফেরি দিয়ে পাট টানা হতো।
জুলাই-আগস্ট মাসে নদীর তীব্র স্রোতের বিপরীতে এ সব টানা ফেরি চলতে পারে না। দুর্ঘটনা এড়াতে শিমুলিয়া ১নং ফেরিঘাটে ৩টি ও বাংলাবাজার ফেরিঘাট এলাকায় পন্টুনে বাকি ফেরিগুলো নোঙর করে রাখা হয়েছে।
ফেরিচালক লাল মিয়া জানান, ‘আমি টাগবোট আইটি ৯৬ চালাই। আমি তিন বছর আগে আইটি ৯০ চালাইছি। ফেরির বয়স প্রায় ৪৫ বছরের ওপরে। একটি দুর্ঘটনা ঘটে এরপর থেকে বন্ধ আছে। আর এখন পদ্মা নদীতে তীব্র স্রোত। পদ্মার তীব্র স্রোতে সেতুর নিচ দিয়া যাইতে হয়। দুর্ঘটনা হওয়ার আশংকা থাকে। তাই ফেরি চলাচল বন্ধ আছে।’
এই নৌরুটে ৬টি টানা ফেরি রয়েছে আরও একটি ছিল সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বিআইডাব্লিউটিসি শিমুলিয়াঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক সাফায়েত আহমেদ জানান, নৌরুটের বহরে বর্তমানে ১৭টি ফেরি থাকলেও চলাচল করছে ১০টি। ডাম্প ফেরি শিমুলিয়া প্রান্তে তিনটি এবং বাংলাবাজার প্রান্তে তিনটি নোঙর করে রাখা হয়েছে। দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্যই এই ফেরিগুলো চলাচল করছে না। ফেরিগুলো বেশ পুরনো। অনেকগুলির বয়স ৫০ বছরের বেশি। পদ্মা নদীর তীব্র স্রোতের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এই ফেরি চলাচলের উপযোগী নয়।