লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ইপিআই টিকাকেন্দ্রে করোনাভাইরাসের টিকার নিবন্ধনের বিনিময়ে টাকা নেয়ার অভিযোগে তিন স্বাস্থ্যকর্মীকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
তাদের শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রত্যাহার করা হয়।
ওই তিন স্বাস্থ্যকর্মী হলেন চরপাতা ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের স্বাস্থ্য সহকারী সুনীল চন্দ্র দেবনাথ, পরিবার কল্যাণ সহকারী চন্দনা রানী নাথ ও গাজিনগর কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি নুরজাহান বেগম।
নিবন্ধন করতে আসা ব্যক্তিদের অভিযোগ, শনিবার থেকে রায়পুরে গণটিকা কার্যক্রমের আওতায় করোনাভাইরাসের টিকা দেয়া হবে। গত সোমবার থেকে সুনীল ৫০ টাকার বিনিময়ে নিবন্ধন করে দেয়া শুরু করে। তার সহযোগী হিসেবে কাজ করে নুরজাহান ও চন্দনা।
বৃহস্পতিবার বিষয়টি কর্তৃপক্ষ জানতে পারে। এ ঘটনায় দুটি কমিটি করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় থেকে করা কমিটিতে রয়েছেন ফেনীর দাগনভূঁইয়ার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রুবাইয়াত বিন করিম ও ফেনী ২৫০ শয্যা হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মিজানুর রহমান।
রুবাইয়াত বিন করিম বলেন, ‘সোমবার থেকে তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করবে বলে আশা করছি। কারো ব্যক্তিগত অন্যায়ের কারণে পুরো বিভাগের সুনাম ক্ষুণ্ন হোক এটা আমরা চাই না। সাক্ষ্য-প্রমাণে যা পাওয়া যাবে সেটাই আমরা প্রতিবেদনে উল্লেখ করব।’
রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়েছে।
তদন্ত কর্মকর্তারা হলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা বাহারুল আলম, আরেক চিকিৎসা কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান ও ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য পরিদর্শক শহিদুল হক।
বাহারুল আলম বলেন, ‘ওই তিনজনকে তাদের দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। আমি অফিশিয়াল কাজে ঢাকায় আছি। সোমবার ফিরে তদন্ত শুরু করব।’
জেলা সিভিল সার্জন আব্দুল গাফফার জানান, টাকা নিয়ে করোনা টিকার নিবন্ধনের সত্যতা পেলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। কোনোভাবে ছাড় দেয়া হবে না।