ময়মনসিংহের গফরগাঁও ও নান্দাইলে পানিতে ডুবে তিন শিশুসহ চার জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে গফরগাঁওয়ে তিনজন এবং নান্দাইলে একজন।
শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে পানিতে ডুবে চার জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
পানিতে ডুবে মারা যাওয়া চার জন হলো গফরগাঁওয়ের যশরা ইউনিয়নের পালইকান্দা গ্রামের হাফেজ মজিবুর রহমানের দুই বছর বয়সী মেয়ে মরিয়ম আক্তার, একই গ্রামের রইছ উদ্দিনের ১৫ বছরের ছেলে আব্দুল আহাদ এবং শোল হাসিয়া গ্রামের আমান উল্লাহর দুই বছরের ছেলে মোস্তাকিম এবং নান্দাইলের ভাটি সাভার গ্রামের হেলাল উদ্দিনের দুই বছরের মেয়ে আফিফার।
স্থানীয় লোকজন জানায়, সকাল ১০ টার দিকে গফরগাঁওয়ের শিবগঞ্জ বাজার এলাকায় সুতিয়া নদীতে আব্দুল আহাদ জাল দিয়ে মাছ ধরতে যায়। সাঁতার না জানার কারণে স্রোতে ডুবে যায় আহাদ। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আহাদের মরদেহ উদ্ধার করেন।
এদিকে, শিশু মরিয়মকে সকাল ৯ টার দিকে তার মা জান্নাতুল ফেরদৌস বালতির পানিতে রেখে ঘরের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। শিশুটি বালতির পানিতে খেলতে খেলতে ডুবে যায়। কিছুক্ষণ পর জান্নাতুল দেখেন বালতির পানিতে মেয়ে ডুবে আছে। শিশুটিকে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিলে তিনি মৃত ঘোষণা করেন।
গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, দুপুর ১২টার দিকে শোল হাসিয়া গ্রামে পানিতে ডুবে যাওয়া শিশু মোস্তাকিমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাইন উদ্দিন মানিক বলেন, সকাল থেকে তিন শিশুকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। এদের মধ্যে দুই জনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
গফরগাঁওয়ের যশরা ইউপি চেয়ারম্যান তারিকুল ইসলাম রিয়েল জানান, পালইকান্দা গ্রামের মজিবুর রহমানের মেয়ে মরিয়ম বালতির পানিতে ডুবে এবং আব্দুল আহাদ নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে মারা গেছে।
এছাড়া, সকাল ৯টার দিকে নান্দাইল উপজেলার ভাটি সাভার গ্রামে পানিতে ডুবে যাওয়া শিশু আফিফাকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।