বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বর্ষা শেষে সিলেটে এডিস মশার বিরুদ্ধে অভিযান

  •    
  • ৬ আগস্ট, ২০২১ ২২:১২

পুরো বর্ষাকালে ডেঙ্গুর বিস্তার রোধে তেমন কোনো পদক্ষপ ছিল না সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক)। নগরের একাধিক স্থানে এডিস মশার লার্ভাও পাওয়া যায়। ফলে নগরে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির মধ্যেই ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি দেখা দেয়।

বর্ষার জমে থাকা পানিতে বংশবিস্তার করে এডিস মশা। এই মশার লার্ভা থেকেই ছড়ায় ডেঙ্গু। ফলে বর্ষাকালকেই ডেঙ্গু ছড়ানোর জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ধরা হয়।এবার বর্ষাকাল প্রায় শেষ হতে চলছে। এই পুরো বর্ষাকালে এডিস মশার বিস্তার রোধে তেমন কোনো পদক্ষপ ছিল না সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক)। নগরের একাধিক স্থানে এডিস মশার লার্ভাও পাওয়া যায়। ফলে নগরে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির মধ্যেই ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি দেখা দেয়। এ অবস্থায় সিটি করপোরেশনের নীরব থাকা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়।অবশেষে বর্ষার একেবারে শেষ সময়ে এসে এডিসবিরোধী অভিযানে নেমেছে সিটি করপোরেশন। শুক্রবার থেকে নগরীতে ১০ দিনের অভিযান শুরু হয়।অভিযানের উদ্বোধনকালে সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী করোনার মহামারিতে বিপর্যস্ত জনজীবনে ডেঙ্গু যেন হানা দিতে না পারে, সে জন্য সবাইকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানান।তিনি বলেন, কোনোভাবেই যেন বাসাবাড়ির ছাদ, ফুলের টব, এসির জমানো পানি, নারিকেলের খোসা, টায়ার-টিউব কিংবা টিনের কৌটায় পানি জমে না থাকে। কারণ এসব স্থানে ডেঙ্গু রোগ বহনকারী মশার জন্ম হয়। এডিসসহ সব ধরনের মশার বংশবিস্তার রোধে নগরবাসীর সহযোগিতা চেয়েছেন মেয়র।মেয়র নগরবাসীর উদ্দেশে বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের এই অভিযানে আপনাদের বাড়ির আশপাশে মশার ওষুধ ছিটানো ও ফগার মেশিন দিয়ে ওষুধ ছড়ানো হবে। কিন্তু আপনার বাসাবাড়ির ভেতরে যাতে এডিস মশার উৎস না থাকে, সেদিকে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।’এরই মধ্যে নগরের দক্ষিণ সুরমায় এডিস মশার লার্ভার সন্ধান পাওয়া গেছে জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘সেসব স্থানে ওষুধ স্প্রে ও ফগার মেশিন দিয়ে ওষুধ ছড়ানো হয়েছে। কেউ যদি এডিস মশার উৎসের সন্ধান পান, তবে দ্রুত জানালে আমরা উৎসেই বিস্তার বন্ধে পদক্ষেপ নেব।’অভিযান শুরুতে বিলম্বের ব্যাপারে সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা আরও আগেই এ অভিযান শুরু করতাম। কিন্তু হঠাৎ করে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ওটা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যেতে হয়। এ ছাড়া টিকা কার্যক্রমও চালাতে হচ্ছে। তবে এ বছর এখন পর্যন্ত সিলেট নগরীতে কেউ ডেঙ্গু আক্রান্ত হননি।’ জাহিদুল ইসলাম বলেন, এবারের অভিযানে করপোরেশন গাড়িতে বহন করা উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ফগার মেশিন ব্যবহার করছে। যার ফলে কম সময়ে বেশি এলাকায় মশার ওষুধ ছিটানো যাবে।এ ছাড়া হাতে বহন করা ফগার মেশিন দিয়ে এডালটিসাইড ওষুধ ছিটানো হচ্ছে, স্প্রে মেশিন দিয়ে লার্ভিসাইড ওষুধও ছিটানো হচ্ছে সম্ভাব্য উৎস স্থানে। তিনি জানান, প্রতিটি ওয়ার্ডে ১০ জন করে শ্রমিক টানা ১০ দিন মশক নিধনের এই অভিযান পরিচালনা করবেন।সিলেট জেলার ডেপুটি সিভিল সার্জন জন্মেজয় দত্ত বলেন, ডেঙ্গু ও করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের উপসর্গে অনেক মিল রয়েছে। তাই জ্বর হলেই কোভিড-১৯-এর পাশাপাশি ডেঙ্গু পরীক্ষারও পরামর্শ তার।তিনি জানান, এরই মধ্যে সিলেট ওসমানী হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন কিট সরবরাহ করা হয়েছে। সরকারি ব্যবস্থাপনায় ডেঙ্গুর পরীক্ষা করা যাবে এসব কিট দিয়ে।ডা. জন্মেজয় আরও জানান, ডেঙ্গু প্রতিরোধে মানুষকে সচেতন হতে হবে। নিজেদের আঙিনা পরিষ্কার রাখতে হবে, যাতে করে এডিস ও চিকুনগুনিয়া মশার বিস্তার না ঘটে।

এ বিভাগের আরো খবর