খালে তীব্র স্রোতে সংযোগ সড়কের মাটি সরে ভেঙে পড়েছে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার কুড়ি টাকিয়া সেতু।
স্বাধীনতার আগে তৈরি হওয়া সেতুটি ভেঙে পড়ায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে ওই এলাকার প্রায় ৫০ হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অবশ্য আশ্বাস দিয়েছেন শিগগিরই কাঠের সাঁকো তৈরি করে প্রাথমিক চলাচলের ব্যবস্থা করা হবে।
স্থানীয়রা জানান, খালে পানির স্রোতে সেতু ও সংযোগ সড়কের মাঝের অংশের মাটি সরে যায়। পরে সেতুটির অর্ধেক ভেঙে পড়ে।
স্থানীয় বাসিন্দা শরিফ উদ্দীন বলেন, ‘এই সেতুর ওপর দিয়ে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ চলাচল করে। সামান্য বৃষ্টির পানিতে সেতুটি ভেঙে পড়ায় আমাদের চলাচলে খুব অসুবিধা হচ্ছে।’
পাল্টাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তহিদুল ইসলাম জানান, সেতুটি ভেঙে পড়ার পর মানুষের চলাচলসহ সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। বিষয়টি ইউএনও ও উপজেলা প্রকৌশলীকে অবহিত করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, দিনাজপুর জেলা সদরের সঙ্গে ইউনিয়নের যোগাযোগের একমাত্র সহজ মাধ্যম সড়কটি। তাই বিকল্প সেতু নির্মাণ এবং দ্রুত সময়ে স্থায়ী সেতু নির্মাণ করা না হলে ওই এলাকার মানুষ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিশেষ করে উৎপাদিত কৃষিপণ্য নিয়ে চরম বেকায়দায় পড়বেন কৃষকরা।
উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল মান্নাফ জানান, ভেঙে পড়া সেতুটি স্বাধীনতার আগে নির্মিত হওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। সেতুটি ভেঙে পড়ার পর বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এখানে তিন কোটি টাকা ব্যয়ে স্লুইসগেটের আদলে একটি রেগুলেটর নির্মাণের দরপত্র আগামী মাসে আহ্বান করা হবে বলে আশ্বাস পাওয়া গেছে।
ইউএনও আব্দুল কাদের বলেন, ‘যোগাযোগব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখতে আমরা সেখানে দ্রুত একটি কাঠের সাঁকো নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। খুব শিগগির সাঁকোটি নির্মাণ করা হবে। এতে করে ওই এলাকার মানুষের কষ্ট কিছুটা কমবে।’