জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে এক দগ্ধ গৃহবধূ চিকিৎসা চলাকালে মারা গেছেন।
রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে শুক্রবার দুপুরে মারা যান তিনি।
নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিরেন্দ্রনাথ মণ্ডল।
মৃত ওই নারীর নাম মঞ্জিলা খাতুন। তিনি জয়পুরহাট সদর উপজেলার রোয়ার গ্রামের শারফুল ইসলাম রনির স্ত্রী এবং বানিয়াপাড়া গ্রামের আব্দুস সবুরের মেয়ে।
মঞ্জিলার পরিবারের বরাত দিয়ে ক্ষেতলাল থানার ওসি নিরেন্দ্রনাথ মণ্ডল জানান, গত ২৬ জুলাই দগ্ধ হন মঞ্জিলা। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়।
২৮ জুলাই রনির বিরুদ্ধে ক্ষেতলাল থানায় মামলা করেন মঞ্জিলার বাবা আব্দুস সবুর।
দগ্ধ হওয়ার ১১ দিন পর শুক্রবার মারা যান মঞ্জিলা।
মামলার এজাহারে বলা হয়, প্রায় পাঁচ বছর আগে রনির সঙ্গে মঞ্জিলার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাদের মাঝে পারিবারিক কলহ লেগে থাকত। দাম্পত্য কলহের জেরে ২৬ জুলাই দুপুরে নিজ বাড়িতে মঞ্জিলার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন রনি।
ওসি নিরেন্দ্রনাথ জানান, ৩০ জুলাই রনিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই দিন জয়পুরহাট জেলা আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।