ঢাকার সাভারে নিজ বাসার সামনে ‘মাদক কারবারে বাধা দেয়ায়’ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক শিক্ষককে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়েছে। তবে গুলিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে অন্যের গায়ে লেগেছে।
এ ঘটনায় আবুল হোসেন নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আশুলিয়ার পানদোয়া এলাকায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। শুক্রবার সকালে শিক্ষকের করা মামলায় আবুলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
মনসুর আলী নামের ওই শিক্ষক জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক।
তার অভিযোগ, সন্ত্রাসীদের নেতৃত্ব দেয়া দুজন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে যিনি গুলি করেছেন, তিনি জাবি ছাত্রলীগের সাবেক নেতা। গুলি তারই সহযোগী আবুলের গায়ে বিদ্ধ হয়।
গুলিবিদ্ধ আবুলকে সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হামলায় অভিযুক্তরা হলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৯ ব্যাচের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী ও জাবি শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম মোল্লা এবং ৪২ ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. হাসান।
প্রভাষক মনসুর আলী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি এখানে পরিবার নিয়ে বাস করি। আমার বাসার সামনের গলিটা সরু। গলির মাথায় প্রতিনিয়ত মোটরসাইকেল রেখে পথ আটকে মাদকের কারবার চলে।
‘মাঝেমধ্যে এখানে অস্ত্র দেখিয়ে ছিনতাইও করা হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আমি জাবির সাবেক শিক্ষার্থী হাসানকে এখানে আড্ডা না দিতে অনুরোধ করি। কিন্তু সে তা না শুনে সাবেক শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা শামীমসহ দলবল ডেকে আনে।’
তিনি আরও বলেন, ‘লাঠিসোঁটা নিয়ে বাড়ির সামনে আমাকে গালাগাল দিতে থাকে। একপর্যায়ে শামীম আমাকে লক্ষ্য করে গুলি করে। কিন্তু গুলিটা আমার না লেগে তাদেরই সহযোগী আবুল নামের একজনের গায়ে লাগে।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত জাবি শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম মোল্লার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
ঘটনার পরপর ওই এলাকা পরিদর্শনে যায় আশুলিয়া থানার পুলিশ।
আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হারুন অর রশিদ নিউজবাংলাকে জানান, মাদক কারবার ও আড্ডা দিতে নিষেধ করায় হাসানের নেতৃত্বে ওই শিক্ষকের বাড়িতে গিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়। এ সময় তাদের ছোড়া গুলিতে আবুল নামের একজন গুলিবিদ্ধ হন।
তিনি আরও জানান, শুক্রবার সকালে আশুলিয়া থানায় মামলা করেন শিক্ষক। মামলার পর গুলিবিদ্ধ আবুলকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় তার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।