ঠাকুরগাঁও পীরগঞ্জ উপজেলার খনগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে বহিষ্কার হরা হয়েছে।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবু জাফর রিপন স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে বৃহস্পতিবার তাকে বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
এ বিষয়টি নিউজবাংলাকে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রেজাউল করিম।
বহিষ্কার হওয়া চেয়ারম্যান কায়সার আলী ডাবলুর বাড়ি খনগাঁও ইউনিয়নের মোল্লাপুর গ্রামে। তিনি ২০১৭ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ছিলেন।
ইউএনও রেজাউল করিম বলেন, ‘ইউপি সদস্য আরজীনা পারভীন ও ইউনিয়ন ডিজিটাল উদ্যোক্তা অমল চন্দ্র রায়কে গালাগাল ও শারীরিক লাঞ্ছনা, ইউনিয়নের আয়ের টাকা পরিষদে জমা না দেয়ার অভিযোগ ওঠে। এতে ইউনিয়ন পরিষদের ১০ সদস্য তার বিরুদ্ধে আমার কাছে দরখাস্ত দেন।
‘অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আমি সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের কমিটি করি। তদন্তের অংশ হিসেবে পরিষদের বিশেষ সভায় গোপন ব্যালটের মাধ্যমে অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে ও বিপক্ষে ভোট নেয়া হয়।’
রেজাউল করিম জানান, অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে ৯টি ভোট পড়ে, যা দুই-তৃতীয়াংশের বেশি। জনস্বার্থে অনাস্থা প্রস্তাব অনুমোদিত হওয়ায় উপজেলার ৩ নম্বর খনগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কায়সার আলী ডাবলুর পদটি বৃহস্পতিবার রাতেই শূন্য ঘোষণা করা হয়।
এ বিষয়ে কায়সার আলী ডাবলু নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি কোনো দুর্নীতি করিনি। অমল চন্দ্র আমার নামে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে। তিনি কাজ করেন না বলে আমি তার সঙ্গে কথা বলেছি। আমি এখনও কোনো চিঠি পাইনি।’