করোনা মহামারিতে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন ক্যাটাগরির ১৩৩ সংস্কৃতিসেবীকে অনুদান দিয়েছে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ।
প্রকৃত কণ্ঠ ও নৃত্যশিল্পীদের বেশির ভাগ এবারও অনুদান পাননি। তালিকায় প্রণয়নের ক্ষেত্রে প্রতিবারই অনিয়ম করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন সংস্কৃতিসেবীরা।
বৃহস্পতিবার সকালে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সভাকক্ষে সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার শিল্পীদের অনুদানের অর্থ প্রদান করেন।
নৃত্য শিক্ষক এলিন চাকমা বলেন, ‘তালিকা প্রস্তুতকারীরা প্রতিবারেই অনিয়ম করেন। প্রকৃত সংস্কৃতিসেবীরা বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হন। কখন এবং কারা তালিকা করেছে আমরা কেউ জানি না। করোনার কারণে নৃত্য প্রশিক্ষণও বন্ধ করা হয়েছে। যার কারণে কোনোমতে চলতে হচ্ছে।’
সংগীতশিল্পী পূন্য শংকর চাকমা বলেন, ‘এ পর্যন্ত বিভিন্ন ক্যাটাগরির সংস্কৃতিসেবীদের অনেকবার আর্থিক অনুদান দেয়া হয়েছে। দুঃখের বিষয়, একবারও আর্থিক অনুদান পাইনি।’
জেলা পরিষদ সূত্র জানায়, যাদের নামের তালিকা দেয়া হয়েছে তারাই আর্থিক অনুদান পেয়েছেন। সংস্কৃতিসেবীদের নামের তালিকা প্রণয়নে সাংস্কৃতিক কর্মী বিদ্যুৎ ত্রিপুরাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। বিস্তারিত তিনি জানেন কারা পেয়েছে কারা পায়নি।
এ বিষয়ে বিদ্যুৎ ত্রিপুরা বলেন, ‘কয়েকজন বাদ পড়েছেন, এমনটা আমিও শুনেছি। যার কারণে পরে এ বিষয়ে আমি আলোচনাও করেছি। পরে হয়তো তাদের আর্থিক অনুদান দিতে পারে। তবে এতে আমার কোনো লাভ নেই। সাংস্কৃতিক কাজ ভালোবাসি বলেই সংস্কৃতিসেবীদের বিষয়টি ভেবে মন্ত্রীকে আর্থিক অনুদানের বিষয়ে অবগত করেছিলাম।’
দীপংকর তালুকদার বলেন, ‘রাঙ্গামাটিতে করোনায় বিভিন্ন পেশার মানুষের মধ্যে নরসুন্দররা আগে কাজ হারিয়েছেন। এরপর পর্যটনসংশ্লিষ্ট বোটচালকরা। আমরা সরকারের সাহায্য তাদের হাতে পৌঁছে দিয়েছি। পরিষদের পক্ষ থেকে জেলায় করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন ক্যাটাগরির ১৩৩ সংস্কৃতিসেবীকে আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছে।’
অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী।
জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম, পরিষদ সদস্য বিপুল ত্রিপুরা, রেমলিয়ানা পাংখোয়া, সবির কুমার চাকমা, প্রবর্তক চাকমা, ঝর্ণা খীসা, প্রিয়নন্দ চাকমাসহ শিল্পীরা উপস্থিত ছিলেন।