বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পার্কে রাতের আড্ডা জমজমাট

  •    
  • ৫ আগস্ট, ২০২১ ২১:৫৬

‘সপ্তাহে অন্তত এক দিন এই পার্কে আসি। দিনের বেলায় পার্কে এলে পুলিশ চলে যেতে বলে। মোটরসাইকেল নিয়ে এলে পার্কের দারোয়ান ঢুকতে বাধা দেয়। সন্ধ্যার দিকে পুলিশ এসে সবাইকে তাড়িয়ে দেয়। তবে রাতে আড্ডা দেয়া যায়।’

ঘড়িতে রাত সাড়ে ৯টা। ময়মনসিংহ শহরের জয়নুল আবেদিন পার্কে আড্ডা দিচ্ছেন অসংখ্য মানুষ।

তাদের বেশির ভাগেরই মুখে নেই মাস্ক। এত সমাগমে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা কঠিন।

সন্ধ্যায় হঠাৎ করেই পার্কে হাজির জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। তাদের দেখে পার্কে থাকা লোকজন যে যেভাবে পারেন পার্ক থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত চলে যাওয়ার আধা ঘণ্টা পর আবারও পার্কে বাড়তে থাকে মানুষের আনাগোনা।

এবার গাড়িতে হুইসেল বাজিয়ে আসে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের টিম। ফলাফল আবারও পার্ক খালি।

পার্কে বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা দিচ্ছিলেন আরাফাত নামে এক যুবক। কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘সপ্তাহে অন্তত এক দিন এই পার্কে আসি। দিনের বেলায় পার্কে এলে পুলিশ চলে যেতে বলে। মোটরসাইকেল নিয়ে এলে পার্কের দারোয়ান ঢুকতে বাধা দেয়। সন্ধ্যার দিকে পুলিশ এসে সবাইকে তাড়িয়ে দেয়। তবে রাতে আড্ডা দেয়া যায়।’

পাশে থাকা নজমুল নামে আরেক যুবক বলেন, ‘করোনার জন্য কলেজ বন্ধ। অলস সময় কাটাতে কষ্ট হয়। রাস্তায় বের হলে মাস্ক পরতে হয়। না হলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের সামনে পড়লে প্রশ্নের মুখোমুখি অথবা জরিমানা। তাই পার্কে মাস্ক খুলে হওয়া খাচ্ছি।’

মাস্ক পরে বসে ছিলেন সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘জয়নুল পার্কের পাশে চা খেতে এসেছিলাম। দেখে মনে হচ্ছে পার্কে মানুষের ঢল নেমেছে। যে যার মতো বসে আড্ডায় ব্যস্ত। আমিও ভেতরে প্রবেশ করে হাওয়া খাচ্ছি।’

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফারুক হোসেন বলেন, ‘একটু আগেও সবাইকে বলে এসেছি পার্ক থেকে চলে যেতে। তখন সবাই চলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। ২ নম্বর পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যদের বলে এসেছি পার্কে যেন লোকজন জড়ো না হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘সারা দেশে যেহেতু কঠোর বিধিনিষেধ চলছে, সেহেতু আমাদের সবারই উচিত তা মেনে চলা। তা না হলে প্রতিদিন যেভাবে করোনা আক্রান্ত বাড়ছে, তা ঠেকানো যাবে না।’

এ বিভাগের আরো খবর