করোনার কারণে বন্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এই সুযোগে গত সপ্তাহে ফুফুর বাড়ি বেড়াতে যায় তিন বোন। ওই বাড়ির পাশেই নদী। সাঁতার না জানা তিন বোন সাহস করে নেমে যায় নদীতে।
ওই সাহসই ডেকে আনে সর্বনাশ। নদীর স্রোতে তলিয়ে যায় তিনজনই। তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে রংপুরের বদরগঞ্জে।
উপজেলার ওসমানপুর ইউনিয়নের নাটারাম শেখপাড়া গ্রামে যমুনেশ্বরী নদীতে নমেছিল তারা ।
নিহতরা হলো একই ইউনিয়িনের ওসমানপুর গ্রামের ১০ বছর বয়সী রাবেয়া বাশরী, তার বড় বোন ১৬ বছরের রুবিনা আক্তার এবং তাদের চাচাত বোন ১১ বছরের সাদিয়া আক্তর।
রাবেয়া ও রুবিনা ওই গ্রামের রবিউল ইসলামের মেয়ে। সাদিয়ার বাবার নাম সাইদুল ইসলাম। তারা একই বাড়ির বাসিন্দা।
ওই তিন মেয়ের পরিবার জানায়, গত সপ্তাহে তারা নাটারাম শেখপাড়ায় তাদের ফুফু কোহিনুর বেগমের বাড়িতে বেড়াতে যায়। বৃহস্পতিবার বিকেলে তারা যমুনেশ্বরী নদীতে নামেন। এ সময় নদীর স্রোতে তলিয়ে যায় তারা। তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
ওই তিন মেয়ের চাচা বাদশা মিয়া বলেন, ‘আমার কোনো ভাতিজিই সাঁতার জানত না।’
বদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক এ এইচ এম সানাউল হক বলেন, ‘হাসপাতালে আনার আগেই ওই তিন মেয়ের মৃত্যু হয়।’
বদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান বলেন, ‘কারো কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ তিনটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’