পাবনায় এক মেডিক্যাল কলেজ শিক্ষার্থীকে ভ্যাকসিন ছাড়াই খালি সিরিঞ্জ পুশের অভিযোগে দুই নার্সকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গঠন করা হয়েছে তদন্ত কমিটি।
পাবনা জেনারেল হাসপাতালের টিকা কেন্দ্র থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে তাদের প্রত্যাহার করা হয়।
যাদের প্রত্যাহার করা হয়েছে তারা হলেন মেরিনা ও মিতা।
হাসপাতালের সহকারী পরিচালক কে এম আবু জাফর নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে তিনি জানান, নার্সরা তাকে জানিয়েছে খালি সিরিঞ্জ পুশের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
শিক্ষার্থীর বাবা আব্দুল হান্নান জানান, তার মেয়ে সাবাহ মরিয়াম ঢাকার একটি মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থী। বুধবার করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা নিতে হাসপাতালে যান সাবাহ। এ সময় নার্সরা তার হাতে একটি খালি সিরিঞ্জ পুশ করে। বিষয়টি নজরে এলে প্রতিবাদ জানান তিনি। তখন তাড়াহুড়ো করে সিরিঞ্জ বের করায় রক্ত বের হয়। পরে ভ্যাকসিনসহ আরেকটি সিরিঞ্জ পুশ করা হয় অন্যহাতে।
তিনি আরও জানান, তার মেয়ে মেডিক্যাল শিক্ষার্থী হওয়ায় বিষয়টি দ্রুত বুঝতে পারে। এটিকে গুরুতর অপরাধ ও কর্তব্যে অবহেলা মনে করে তিনি বলেন, নার্সরা কেন এমন করলেন, তা তার বোধগম্য নয়।
তবে এ ঘটনায় নার্সদের কোনো অবহেলা ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখার কথা জানান ডা. আবু জাফর।
তিনি জানান, এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ তারা পাননি। এরপরও পাবনা সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমানকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি প্রতিবেদন দিলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। পাশাপাশি টিকা কেন্দ্রে সার্বিক নজরদারিও বাড়ানো কথা জানান তিনি।
এ বিষয়ে পাবনার সিভিল সার্জন মনিসর চৌধুরী বলেন, জেলায় টিকাদানে নিযুক্তরা সবাই স্টাফ নার্স ও অভিজ্ঞ। স্বাস্থ্যকর্মীরাও প্রশিক্ষিত। এ ধরনের ভুল হওয়ার কথা নয়। তারপরও ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। তবে টিকাদান কার্যক্রম নিয়ে বিভ্রান্ত না হয়ে সহযোগিতার অনুরোধ করেন তিনি।
এর আগে টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২ নম্বর বুথে রোববার অন্তত ২০ জনের দেহে করোনার টিকা না দিয়েই কেবল সিরিঞ্জের সুঁই পুশ করার অভিযোগ ওঠে। সেখানে টিকাদানের দায়িত্বে ছিলেন সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক সাজেদা আফরিন। এ ঘটনার সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি। সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্যকর্মীর ভাষ্য, বেশি মানুষের চাপে তাড়াহুড়োর মাঝে ‘অনিচ্ছাকৃত’ ঘটনাটি ঘটেছে।