বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দলীয় কর্মসূচিতে স্লোগান দিয়ে আলোচনায় ওসি

  •    
  • ৫ আগস্ট, ২০২১ ১৬:৫৩

অনুষ্ঠানের একটি ভিডিও ক্লিপে দেখা যায়, ওসি আকতার হোসেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে স্লোগান দিচ্ছেন। তিনি বলেছেন, ‘শুভ শুভ শুভদিন, শেখ কামালের জন্মদিন। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু। আমরা সবাই মুজিব সেনা, ভয় করি না বুলেট বোমা।’

শরীয়তপুরের পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। আওয়ামী লীগের একটি দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তার রাজনৈতিক স্লোগান, পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মিষ্টি খাওয়ার ভিডিও ছড়িয়েছে ফেসবুকে।

তবে ওই পুলিশ কর্মকর্তার দাবি, তিনি দলীয় কর্মসূচিতে একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে অংশ নিয়েছেন। এটাকে অন্যভাবে নেয়ার সুযোগ নেই।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পুত্র শেখ কামালের ৭২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার রাত ১২টার দিকে শরীয়তপুর সদরের চৌরঙ্গী মোড়ে মোমবাতি প্রজ্বালন ও পুষ্পস্তবক অর্পণ অনুষ্ঠানে অংশ নেন পালং মডেল থানার ওসি আক্তার হোসেন।

ওই অনুষ্ঠানের একটি ভিডিও ক্লিপে দেখা যায়, ওসি আক্তার হোসেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে স্লোগান দিচ্ছেন।

ভিডিওতে দেখা যায়, আওয়ামী লীগ নেতাদের মাঝে দাঁড়িয়ে ওসি বলেছেন, ‘শুভ শুভ শুভদিন, শেখ কামালের জন্মদিন। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু। আমরা সবাই মুজিব সেনা, ভয় করি না বুলেট বোমা।’

পুষ্পস্তবক অর্পণ করছেন ওসি আক্তার হোসেন

শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপু ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে, সদর উপজেলার সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, পৌরসভা কমিটির সভাপতি এম এম জাহাঙ্গীরসহ আরও অনেকে।

সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শেখ কামালের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে ওসি অংশ নিয়েছিলেন। প্রথমে আমি স্লোগান দিয়েছিলাম। আমার পরে ওসি স্লোগান দিয়েছেন।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পালং মডেল থানার ওসি আক্তার হোসেন বলেন, ‘ওইটা আমি একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে দিয়েছি। আমি রাজনৈতিক ব্যক্তি হিসেবে দিইনি। এটা একটা জাতীয় প্রোগ্রাম ছিল। এখানে দেয়া যায়। এটা অন্যভাবে নেবেন না, ভাই।’

পালং মডেল থানার ওসি আক্তার হোসেন

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রাজনৈতিক সভা-সেমিনারে কোনো পুলিশ সদস্য এভাবে অংশ নিতে পারেন না। এটা সরকারি কর্মচারী বিধিমালা (আচরণ) ১৯৭৯-এর পরিপন্থি।’

সরকারি কর্মচারী বিধিমালা (আচরণ) ১৯৭৯-এর বিধি-২৫ (রাজনৈতিক ও নির্বাচনে অংশগ্রহণ) এ বলা হয়েছে, কোনো সরকারি কর্মচারী কোনো রাজনৈতিক দল বা রাজনৈতিক দলের কোনো অঙ্গসংগঠনের সদস্য হতে পারবে না। বাংলাদেশ এবং বিদেশে কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ বা কোনো প্রকারেই সহযোগিতা করতে পারবে না।

ওসির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে কি না, এমন প্রশ্নে পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (মিডিয়া) সোহেল রানা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘একজন পু‌লিশ কর্মকর্তা বা সদস্যের করণীয় এবং সেই করণীয় পদ্ধ‌তি ও উপায় সু‌নি‌র্দিষ্টভা‌বে আই‌নে উ‌ল্লেখ আ‌ছে। মৌ‌লিক প্র‌শিক্ষণ থে‌কে শুরু করে নানা সময় পু‌লি‌শের সব সদস্য‌কে সে বিষ‌য়ে জানানো হয়। সু‌নি‌র্দিষ্ট তথ্য ও অ‌ভি‌যো‌গের ক্ষে‌ত্রে যেকো‌নো বিচ্যু‌তির বিষ‌য়ে আই‌নি ব্যবস্থা নেয়া হ‌য়ে থা‌কে।’

এ বিভাগের আরো খবর