বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাঁধের ভাঙন রোধে আবারও পদ্মায় ডিজিটাল সার্ভে

  •    
  • ৫ আগস্ট, ২০২১ ১৪:২৭

মাল্টিভিম যন্ত্র নদীর তলদেশের স্রোতের গতি, পানির লেভেল, গভীরতা, তলদেশের মাটির স্তরের তথ্য কম্পিউটারে পাঠায়। সঙ্গে ছবি ও ভিডিও পাঠানো হয়। প্রকৌশলীরা তা বিশ্লেষণ করে কোথায় ও কী সমস্যা তা চিহ্নিত করেন।

প্রতি বছর পদ্মার ভাঙনে গৃহহারা হন এর দুই পারের মানুষ। বর্ষা মৌসুমে বাঁধের ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে শুরু হয়েছে ডিজিটার সার্ভে।

নদীর ডান তীর রক্ষা বাঁধ এলাকার ১০ কিলোমিটারজুড়ে বুধবার থেকে দুইদিনের সার্ভে শুরু হয়েছে।

পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ট্রাস্টি প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং (টিডব্লিউএম) স্পিডবোটে মাল্টিভিম যন্ত্রের সাহায্যে এই সার্ভে করছে। স্পিডবোটের সঙ্গে পানির ১ মিটার নিচে এটি বাঁধা থাকে। নদীর তীর থেকে ৩০০ মিটার পর্যন্ত যন্ত্রটি নিয়ে যাওয়া যায়।

যন্ত্রটি নদীর তলদেশের স্রোতের গতি, পানির লেভেল, গভীরতা, তলদেশের মাটির স্তরের তথ্য কম্পিউটারে পাঠায়। সঙ্গে ছবি ও ভিডিও পাঠানো হয়। প্রকৌশলীরা তা বিশ্লেষণ করে কোথায় ও কী সমস্যা তা চিহ্নিত করেন।

২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত শরীয়তপুরের নড়িয়া ও জাজিরা উপজেলায় পদ্মার তীর ভাঙনে গৃহহীন হয় অন্তত ২০ হাজার পরিবার।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, ২০১৮ সালে তারা নড়িয়া-জাজিরায় পদ্মা নদীর ডান তীর রক্ষা প্রকল্প নামে একটি প্রকল্পের কাজ শুরু করে। এর আওতায় নড়িয়ার সুরেশ্বর লঞ্চঘাট থেকে জাজিরার সফি কাজির মোড় পর্যন্ত ৯ দশমিক ৩ কিলোমিটার এলাকায় তীর রক্ষা বাঁধ তৈরি হচ্ছে। তীরের বিপরীতে ১১ দশমিক ৮ কিলোমিটার নদীর চর খনন কাজ চলছে।

তীর রক্ষা বাঁধে ব্যয় হচ্ছে ৮৩০ কোটি টাকা ও নদীর চর খননে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৮৭ কোটি টাকা।

বাঁধ নির্মাণে বালুভর্তি ৬২ লাখ জিও ব্যাগ ও ৪২ লাখ সিসি ব্লক ফেলা হবে। এর মধ্যে ৫২ লাখ জিও ব্যাগ ও ২১ লাখ সিসি ব্লক ফেলা হয়েছে। বাঁধের ৩ দশমিক ৭ কিলোমিটারের কাজ শেষ হয়েছে। নদীর চর খনন কাজ শেষ হয়েছে ৭ দশমিক ৩ কিলোমিটার।

এই প্রকল্পের কাজ চলমান অবস্থাতেও ২০১৯ ও ২০২০ সালে ভাঙন দেখা দেয়। ২০১৯ সালে সাধুর বাজার এলাকায় দুটি স্থানে ও গত বছর সুরেশ্বর দরবার শরিফ এলাকায় তিন দফায় ভাঙন সৃষ্টি হয়। জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ও জিও টিউব ফেলে ভাঙন রোধ করে পাউবো।

পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম আহসান হাবীব নিউজবাংলাকে জানান, গত বছর প্রথম ডিজিটাল সার্ভে করে আটটি ঝুঁকিপূর্ণ স্থান চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়ায় ক্ষতি কম হয়। এ বছর জানুয়ারিতে একবার সার্ভে করে তলদেশের অবস্থা যাচাই করা হয়েছিল। বর্ষা মৌসুমে আবার করা হচ্ছে।

পানি সম্পদ উপমন্ত্রী ও শরীয়তপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেন, ‘শরীয়তপুর জেলা দিয়ে পদ্মা, মেঘনা ও কীর্তিনাশা নদী প্রবাহিত হয়েছে। নদী ভাঙনের কারণে বহু বছর ধরে এ জনপথের মানুষ নিঃস্ব হচ্ছে। তাদের সুরক্ষা দেয়ার জন্য শরীয়তপুর জেলায় অনেকগুলো প্রকল্প চলছে।

‘বর্ষায় ভাঙন হতে পারে। এ কারণে সর্তকতামূলক নানা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে যেন কোথাও ভাঙন দেখা দিলে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া যায়।’

এ বিভাগের আরো খবর